টপ ইসলামী রাষ্ট্র সৌদি আরবের সবচেয়ে আপন মিত্রের নাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে দেশটির রয়েছে বহুমুখী বাণিজ্য। সৌদি আরবের তেল ক্ষেত্রের উন্নয়ন থেকে শুরু করে অস্ত্র বিনিময় সব কিছুই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মত অমুসলিম দেশের সাথে। এছাড়া সৌদি শেখ-সুলতানদের ইউরোপ-আমেরিকা প্রিয়তার কথা সবার জানা।
ইসলাম অনুসারে অমুসলিম দেশে ভ্রমণ ও তাদের সাথে যেকোন ধরণের বাণিজ্যকে হারাম ঘোষণা করে ফতোয়া জারি করেছে সৌদি আরবের এক ইমাম। সৌদি গেজেট পত্রিকার সংবাদ অনুসারে, ফতোয়া জারিকারী ইমাম, মুসলিম দেশের রাষ্ট্রজনদের জন্য যেকোন উদ্দেশ্যে অমুসলিম দেশ ভ্রমণ হারাম বলে ঘোষণা করেন। একইসাথে কোন অমুসলিম দেশের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্যকেও হারাম ঘোষণা করেছেন।
আর সৌদি ইমামের জারি করা এই ফতোয়ার কারণে বিপদে পড়েছে সারা বিশ্বের মুসলমানরা। একই সাথে এই ফতোয়া মানতে গেলে সৌদি আরবের অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়বে। দেশটির শেখ-সুলতানদের ভোগী জীবন ছাড়তে হবে। ফলে ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম হলেও ইমামের এই ফতোয়া সৌদি আরবের ক্ষমতাসীনরা কোনদিনও মানবে না বলে দেশটির রাষ্ট্রজনদের অভিযোগ। তবে এই ইমাম সৌদি শেখদের অমুসলিম নারীর প্রতি গভীর টানের কথা জানলে এমন ফতোয়া জারি করতেন না, বলেই সমালোচকদের দাবি।
ফতোয়া অনুসারে, শিক্ষার উদ্দেশ্যেও কোন মুসলমান অমুসলিম দেশে যেতে পারবে না। আর সৌদি ইমামের এই ফতোয়া শোনার পর স্বাভাবিকভাবে মন খারাপ ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন দেশে পড়তে যাওয়া সৌদি আরবের শিক্ষার্থীদের। যে সব দেশের সাথে ধর্মীয় ও সংস্কৃতিগত মিল নেই, সে সব দেশে মুসলমানদের ভ্রমণ নিষিদ্ধ করার জন্যই এই ফতোয়া জারি করেন তিনি।
তার ফতোয়া অনুসারে, অমুসলিম দেশের সাথেও কোন ধরণের ব্যবসা-বাণিজ্যও সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ব্যবসা-বাণিজ্য নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে তিনি বলেন, ব্যবসার দ্বারা অমুসলিম দেশ আর্থিকভাবে লাভবান হয়। অথচ তিনি যে মাইক্রোফোন ও লাউন্ডস্পিকার ব্যবহার করে এই ফতোয়া জারি করেছেন, সেটিও অমুসলিম দেশ থেকে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের মাধ্যমে আমদানি করা দাবি করে এমন অদ্ভূত ফতোয়ার সমালোচনা করেছে সৌদি আরবের সাধারণ মানুষ।
অবশ্য, ইসলাম প্রচারের জন্য কোন অমুসলিম দেশ ভ্রমণ হারাম কিনা, তা উল্লেখ করেননি তিনি।