ত্বত্তাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলী খান বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সম্মাননা ক্রেষ্টের যারা স্বর্ন চুরি করে, যারা কাঠ চুরি করে, ৩৪৪ টি ক্রেষ্ট তৈরী করতে গিয়ে যারা ৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে, তাদের মুখে আর যাই হোক, মুক্তিযুদ্ধের স্ব-পক্ষের সরকারের শ্লোগান মানায় না। রোববার রাতে দৈনিক প্রথম বাংলাদেশ এর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি।
‘বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনায়ক, রাজনীতিবীদ, দার্শনিক, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, বিশিষ্ট নাগরিক ও সংগঠনকে সম্মাননা দিতে তৈরী করা ক্রেষ্টে স্বর্ন কম দিয়ে অর্ত আত্মসাৎের ঘটনাকে কিভাবে দেখছেন’ এমন প্রশ্নের জবাবে বিশিষ্ট এই অর্থনীতিবীদ বলেন, ‘এই সংবাদটি পরে আমি বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে আমি লজ্জা পেয়েছি। জানিনা যারা এ কাজটি করেছেন, তারা কতটুকু লজ্জা পেয়েছেন।’
ড. আকবর আলী খান বলেন, ‘আমি সব চেয়ে বেশি অবাক হয়েছি, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা একজন প্রতিমন্ত্রী এবং দুজন সচিব কিভাবে সম্মাননা ক্রেষ্ট থেকে টাকা আত্মসাৎ করেণ? তারা কি কখনো ভাবেন নাই, যে এটা একদিন প্রকাশ হয়ে পরতে পারে।’ তিনি বলেন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী তাজুল ইসলাম যা অর্জন করেছিলেন, তার সবটুকুই বিষর্জন দিয়েছেন। অবশ্য আমাদেরে দেশে কোন কিছুতেই কিছু হয় না। ক্ষমতা আর অর্থের কাছে অনেক কিছুই হার মেনে যায়।’
উল্লেখ্য, স্বাধীনতার ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অবিস্মরণীয় অবদানের জন্য বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনায়ক, রাজনীতিবিদ, দার্শনিক, শিল্পী-সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, বিশিষ্ট নাগরিক ও সংগঠনকে সম্মাননা প্রদানের লক্ষে তৈরী করা প্রতিটি ক্রেস্টে ১২ আনা স্বর্ন কম দেওয়া হয়। নির্ধারিত কাঠের স্থানে নিম্ন মানের কাঠ দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে সরকারের গঠিত তদন্ত কমিটি মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, সাবেক সচিব মিজানুর রহমান ও বর্তমান সচিব কে এইচ মাসুদ সিদ্দিকসহ সহ ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে। রিপোর্টে বলা হয়, সাবেক প্রতিমন্ত্রীসহ ১৩ জনে এই এই ক্রেষ্টের স্বর্ন চুরি করে ৭ কোটি সাড়ে তিন লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন।