মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় ঝড়ের কবলে পড়ে দুই শতাধিক যাত্রী নিয়ে মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চ মিরাজ-৪ ডুবে গেছে। এ পর্যন্ত ১২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে সুরেশ্বর যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। )মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় ঝড়ের কবলে পড়ে দুই শতাধিক যাত্রী নিয়ে মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চ মিরাজ-৪ ডুবে গেছে।
এ পর্যন্ত ১২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে সুরেশ্বর যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। যাদের লাশ উদ্ধার হয়েছে, তাদের মধ্যে পাঁচজনের নাম জানা গেছে। পাঁচজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- শরিয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার পাঁচগাও গ্রামের জামাল হোসেন শিকদার (৫০), তার ছেলে আবিদ হোসেন শিকদার (২৮), টুম্পা বেগম (৩০), সেতার বেগম (৫০) ও আরিফ (১১)। জানা গেছে, ডুবে যাওয়া লঞ্চটির কিছু যাত্রী সাঁতরে তীরে চলে আসতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু এখনো অনেক যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন।
মুন্সীগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসেন জানান, ওই লঞ্চটিতে দুইশ’ যাত্রী ছিলেন। কোস্ট গার্ড, জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনতা লঞ্চের যাত্রীদের উদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছেন। নারায়ণগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা দুর্বার ও প্রত্যয় নামে দুটি উদ্ধারকারী জাহাজ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লঞ্চটি উদ্ধারে কাজ শুরু করেছে।
নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম খান জানান, নৌ-বাণিজ্য অধিদপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড শিপ সার্ভেয়ার এ এস এম সিরাজুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।