আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, মায়া ভাই রাজপথের সিপাহশালার, মহানগর আওয়ামী লীগের প্রাণপুরুষ। এ জন্য তার বিরুদ্ধে স্বাধীনতাবিরোধীরা ষড়যন্ত্র করছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের এক বর্ধিতসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
আগামী ১৭ মে প্রধানমন্ত্রী ‘শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ উপলক্ষে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন সফল করতে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ এই বর্ধিত সভার আয়োজন করে।
বর্ধিত সভায় নানক বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের ঘটনার পর জড়িত সন্দেহে তিন র্যাব কর্মকর্তাকে অবসরে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত যেন বাধাগ্রস্ত না সে জন্য ওই এলাকার প্রশাসনের সব কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। আর খালেদা জিয়া যখন ক্ষমতা থাকার সময় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা হলো। কই একজন পুলিশকে তো বহিষ্কার করা হলো না। কাউকে শাস্তি দেওয়া হয়নি বরং তাদের পুরস্কৃত করা হয়।’
সাবেক স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী নানক বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। কেউ ঘোলা পানিতে মাঠ শিকার করতে পারে সেই সুযোগও দেওয়া হবে না।
তিনি অভিযোগ করেন, ‘খালেদা জিয়া নারায়ণগঞ্জ গিয়েছেন রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য। অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য। তিনি যে ষড়যন্ত্রের জাল বুনেছেন তা ব্যর্থ হবেই, হবে।’
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্বে বর্ধিতসভায় আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, সাংসদ কামাল আহমেদ মজুমদার প্রমুখ।