নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনায় সন্দেহভাজন ও র্যাব-১১ এর ক্যাস্পের সাবেক কমান্ডার লে. কমান্ডার (অব.) এমএম রানাকেও অবশেষে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে সেনানিবাস এলাকা থেকে রানাকে গ্রেপ্তার করার কথা নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার ডক্টর খন্দকার মহিদ উদ্দিন।
পুলিশ সূত্র জানায়, রাত পৌনে ১টার দিকে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুব্রত পাল ও তদন্তকারী কমকর্তা মামুনুর রশীদসহ নারায়াণগঞ্জ জেলা পুলিশের দুটি টিম ঢাকায় আসেন। এ সময় তারা ডিবি পুলিশের সহায়তায় জিয়া কলোনীর গেইট দিয়ে সেনানিবাসে প্রবেশ করেন।
সূত্র জানায়, তারা নৌবাহিনীর ঈর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কিছুক্ষণ বৈঠক করেন। এক পর্যায়ে সেনানিবাসের নেভাল কোয়ার্টার এলাকা থেকেই এমএম রানাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় কর্তৃপক্ষ। পরে তাকে নেয়া হয় ক্যান্টনমেন্ট থানায়। এ সময় তার পরনে ছিল জিন্সের প্যান্ট ও টি শার্ট। রাত ২টার দিকে কড়া পুলিশ প্রহরায় রানাকে নেয়া হয় নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে। সেখান থেকে তাকে রাখা হয় পুলিশ লাইনে।
নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার ডক্টর খন্দকার মহিদ উদ্দিন গতকাল রাতে দৈনিক প্রথম বাংলাদেশকে বলেন, র্যাব-১১ এর সাবেক পরিচালক লে. কর্নেল (অব.) তারেক সাঈদ মাহমুদ ও মেজর (অব.) আরিফ হোসেনকে গ্রেপ্তার করার পর এমএম রানাকে ধরতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ শুরু করে। তবে রানাকে আটক করার পেছনে নৌ-বাহিনীর অবদান সবচেয়ে বেশি। তাকে নারায়ণগঞ্জে নিয়ে আসা হয়েছে। রানাকেও ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ রবিবার আদালতে পাঠানো হবে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চাওয়া হতে পারে।
প্রসঙ্গত র্যাব থেকে প্রত্যাহার হওয়ার পর নৌবাহিনী থেকে তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর পর থেকেই সাবেক এই নৌ কর্মকর্তা লে. কমান্ডার রানা নাকি তার বাসায় ছিলেন। কিন্তু এর আগে খবর বের হয় তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। চাকরি হারানোর পর তিনি কাগজপত্র নিয়েই চলে যান। এখন তিনি কোথায় আছেন, তা নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা জানেন না বলেও জানান। বিশেষ করে গতকাল বাকি দুই র্যাব কর্মকর_তাকে আটকের পর এই নিয়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হলে আজ তাকে আটক করা হয়।