থাইল্যান্ডে অব্যাহত সরকার বিরোধী বিক্ষোভের মুখে মঙ্গলবার দেশটির সেনাবাহিনী সামরিক আইন জারির ঘোষণা দিয়েছে। তারা বলছে দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে তারা এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং এটি কোন অভ্যুত্থান নয়।থাইল্যান্ডের সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব দেশটির রাজা ভূমিবলের ইশারাতেই সামরিক আইন জারী করা হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
থাইল্যান্ডে কেয়ারটেকার সরকার ক্ষমতায় বহাল থাকা সত্বেও সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল উইনথাই সুভারি সোমবার স্থানীয় সময় সকাল তিনটার দিকে দেশে সামরিক শাসন জারির ঘোষণা দেন। এ সম্পর্কে কর্নেল উইনথাই রয়টার্সকে জানান, দেশে শান্তি এবং স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতেই সামরিক শাসন জারি করা হয়েছে। তবে সেনাবাহিনী সরকারের কাজে কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। সরকার স্বাভাবিকভাবেই তার কাজকর্ম চালিয়ে যাবে।’
থাইল্যান্ডে গত ছয় মাস ধরে সরকার এবং বিরোধী দলের মধ্যে উত্তেজনার পর থাই সেনাবাহিনী এ পদক্ষেপ নিল। সামরিক আইন প্রয়োগের জন্য সেনাবাহিনী নিজেদের ব্যাপক ক্ষমতাও প্রদান করেছে। সামাজিক মাধ্যমে পাওয়া খবরে জানা যায়,সৈন্যরা রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।
এ মাসের শুরুর দিকে দেশের একটি আদালত প্রধানমন্ত্রী ইংলাক চিনাওয়াতসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রীকে পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেয়। এতে দেশের পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে ওঠে।
গত বেশ কয়েক মাস ধরেই বিরোধী দল অনির্বাচিত একটি প্রশাসনের অধীনে নির্বাচনের দাবীতে বিক্ষোভ করে যাচ্ছে যারা কিনা দেশের সংবিধানেও পরিবর্তন করতে পারবে। সংবাদদাতারা বলছেন, সরকারের সমর্থকরা যদি এই সামরিক শাসনকে অভ্যুত্থান হিসেবে দেখেন, সেক্ষেত্রে তাদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখানোরও সম্ভাবনা রয়েছে।
রাজনৈতিক অস্থিরতার পরিপ্রেক্ষিতে সর্বশেষ ২০০৬ সালেও থাই সেনাবাহিনী থেকে সামরিক আইন জারি করা হয়েছিল।