নূর হোসেন পরিকল্পিতভাবে বিএনপির গুপ্তচর হিসেবে আওয়ামী লীগে প্রবেশ করেছে বলে দাবি করেছেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন।
সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বীরউত্তম খাজা নিজামুদ্দিন মিলনায়তনে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় তিনি এ কথা বলেন। চলমান রাজনীতি ও প্রতিবেশী দেশের সরকার পরিবর্তন নিয়ে বিএনপি নেতাদের বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্যের প্রতিবাদে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের প্রধান আসামি নূর হোসেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছিলেন। একই সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সমর্থিত নির্বাচিত কাউন্সিলর তিনি। খুনের ঘটনার জের ধরে ১০ মে তাকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। এর আগে এরশাদ শাসনামলে নূর হোসেন জাতীয় পার্টি করতেন।
১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর তিনি বিএনপিতে যোগ দেন।কিন্তু তখন তার এতো নামডাক প্রতিপত্তি কিছুই ছিলো না। সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনের সময় তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন।এবং গত পাঁচ বছরে শত শত কোটির টাকার মালিক বনে যান। আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের নয় দিনের মাথায় নূর হোসেন বিএনপির ‘গুপ্তচর’ ছিল বলে দাবি করলেন সাহারা খাতুন।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় প্রধান আসামি নূর হোসেন আগে বিএনপির নেতা ছিল। বিএনপির গুপ্তচর হিসেবে নূর হোসেন নারায়ণগঞ্জে ওই ন্যক্কারজনক ঘটনাটি ঘটিয়েছে। এখন বিএনপি নেতারা লাফালাফি করছে। কিন্তু আমি বলতে চাই, এত লাফালাফি করে কোনো লাভ হবে না। এ হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদ্ঘাটন করা হবে। এখনও তাকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
দ্রুত তাকে খুঁজে বের করতে হবে। সে কোনো ছাড় পাবে না বলে মন্তব্য করেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ভারতের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির নিরঙ্কুশ বিজয় প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এ সদস্য বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই বিএনপি নানা প্রচারণা চালায়। বলে বাংলাদেশ ভারত হয়ে যাবে। এখন তারা ভারত নিয়ে লাফালাফি করছে।
কত বড় নির্লজ্জ হলে এরকম কাজ করে তা বোঝাই যাচ্ছে। নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, অতীতেও আমাদের সঙ্গে বিজেপির সুসম্পর্ক ছিল এবং থাকবে। ভারতের সঙ্গে গঙ্গার পানিবণ্টনের চুক্তি যেমন হয়েছে, ঠিক তেমনিভাবে তিস্তার চুক্তিও সফল হবে। সাহারা খাতুন বলেন, ভারত আমাদের মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করেছিল।
তারা পাকিস্তানের দালালদের কখনও সমর্থন করবে না। যারা এসব বিষয়ে আহাম্মকি মার্কা কথা বলে জাতিকে বিভ্রান্ত করছে তাদের আস্ফাালন করেই সময় পার করতে হবে। সংগঠনের সহসভাপতি ব্যারিস্টার সোহরাব আলীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় শিক্ষক নেতা শাজাহান সাজু, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।