চারিদিকে শুধু রক্ত আর রক্ত এ মন্তব্য করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ বলেছেন, এ রক্তের দায় সরকার এড়াতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ আগে ছিল বাণিজ্যের নগরী। সেই নগরীর বদনাম হয়েছে। এ মাটিতে রক্তের দাগ লেগেছে। আর রক্ত দেখতে চাই না। শান্তি চাই।’
তিনি সরকারকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে শান্তি ফিরিয়ে আনুন। আপনারা এগিয়ে আসুন আমরা সহযোগিতা করবো। সাত হত্যাকাণ্ডের বিচার করুন।’
শনিবার বিকেলে শহরের ডিআইটি এলাকায় নারায়ণগঞ্জ-৫( শহর-বন্দর) আসনের প্রয়াত এমপি নাসিম ওসমানের শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক এ রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘নাসিম ওসমান ছিল, আছে, এবং থাকবে আমার হৃদয়ে, নারায়ণগঞ্জের লাখো মানুষের হৃদয়ে।’
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন বাবলু এমপি।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি এমএ সাত্তারের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন-জেলা পরিষদ প্রশাসক আবদুল হাই, নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁও) আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির জেলা সভাপতি চন্দন শীল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির(ন্যাপ) জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট এমএ হক।
শোক সভায় নাসিম ওসমানের প্রসঙ্গে এরশাদ বলেন, ‘নাসিম ওসমান আমাদের হৃদয়ে বেঁচে থাকবে। নাসিম ওসমান ছিলেন আমার সহযোগী, সহযোদ্ধা। তাকে আমি ভালবাসতাম। সেও আমাকে যেমন ভালোবাসতো তেমনি নারায়ণগঞ্জবাসীকেও ভালোবাসতো। ভালাবাসার টানেই শোক সভায় মানুষের ঢল নেমেছে।’
তিনি বলেন, ‘নাসিম ওসমান ছিলেন সকলের প্রিয়। তার মৃত্যুতে এ আসন শূন্য হয়েছে। এ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী দেবে। যাকে দেয়া হবে তাকেই জয়ী করতে হবে। জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে বিজয়ী করেই অশান্ত নারায়ণগঞ্জকে শান্ত করতে হবে।’
জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন বাবলু বলেন, ‘সারাদেশে এখন সন্ত্রাস চলছে। এ সন্ত্রাস থেকে আমাদের মুক্তি পেতে হবে। আমরা সংসদে এবং বাইরেও সোচ্চার থাকবো।’