ভারতের ১৪তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আজ সোমবার আরেকটু পরের দিকে শপথ নিতে যাচ্ছেন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতা নরেন্দ্র মোদি। দেশটির ইতিহাসে এটি হবে এ যাবত্কালের সবচেয়ে বড় শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে অংশ নিতে যাচ্ছেন সার্কভুক্ত দেশগুলোর শীর্ষ নেতা ও তাদের প্রতিনিধিরা। শেষ মুহূর্তে শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের চির বৈরী পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ।
এদিকে শপথ অনুষ্ঠানে কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী ও তার ছেলে রাহুল গান্ধী যোগ দেবেন বলে জানা গেছে। তবে এতে অংশ নিচ্ছেন না তামিলনাডুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা। খবর এনডিটিভি, জি নিউজ, টাইমস অব ইন্ডিয়া, হিন্দুস্তান টাইমসের।
সন্ধ্যা ৬টায় শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ভবনে সমস্ত আয়োজন শেষ করা হয়েছে।
এর আগে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সার্কভুক্ত দেশগুলোর শীর্ষ নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। আমন্ত্রণ কবুলও করেছেন নেতারা।
তবে ভারতের চির বৈরী প্রতিবেশী পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের যোগ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে সংশয় ছিল। তবে গতকাল রবিবার নওয়াজের অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপান সফরে থাকায় তার পক্ষে যোগ দিচ্ছেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। ইতোমধ্যে তিনি দিল্লিতে পৌঁছেছেন।
সার্ক নেতাদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। গতকাল রবিবার এক টুইটার বার্তায় মোদি বলেন, এটা খুব আনন্দের বিষয় যে সার্ক দেশগুলো ও মরিশাসের শীর্ষ নেতারা শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন। তাদের অংশগ্রহণ অনুষ্ঠানটিকে স্মরণীয় করে রাখবে।
এদিকে মোদির শপথ উপলক্ষে শুভেচ্ছার নিদর্শনস্বরূপ ভারতীয় জেলেদের মুক্তি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। দেশ দুটির জলসীমায় অবৈধভাবে মাছ ধরার অভিযোগে ওই জেলেদের আটক করা হয়েছিল।
যাচ্ছেন রাহুল-সোনিয়া: দেশি-বিদেশি অতিথিদের পাশাপাশি লোকসভা নির্বাচনে পরাজিত কংগ্রেসের সভাপতি সোনিয়া গান্ধী ও সহসভাপতি রাহুল গান্ধীও যোগ দিচ্ছেন। সিপিএমের পক্ষে থাকছেন দলের পলিটব্যুরো নেতা সীতারাম ইয়েচুরি। তবে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসেকে শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোয় ক্ষুব্ধ জয়ললিতা নিজে তো যাবেনই না, এমনকি তার কোনো প্রতিনিধিকেও পাঠাবেন না।
সবচেয়ে বড় আয়োজন: রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি হতে যাচ্ছে ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছেন আট দেশের শীর্ষ নেতা, ১৫০ দেশের কূটনীতিকসহ চার হাজার অতিথি। এর আগে ১৯৯৯ সালে অটল বিহারি বাজপেয়ির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন এক হাজার দুইশ’ অতিথি। শপথ অনুষ্ঠানটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়। শেষ হবে রাত ৮টায়। এর পরই অতিথিরা যোগ দেবেন নতুন সরকারকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রথমবারের মতো আয়োজন করা রাষ্ট্রপতির ভোজসভায়।