জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্য পদ লাভের ক্ষেত্রে জাপান ও ভারতের মধ্যে জাপানকেই সমর্থন দেবে বাংলাদেশ। এমনটাই জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। অনেক দিন আগে থেকেই জাপানকে সমর্থন দেয়ার বিষয়টি চলে আসছে বলে তিনি জানান। ভারত এ নির্বাচনে অংশ নিলেও জাপানের প্রতিই বাংলাদেশের সমর্থন অক্ষুণ্ণ থাকবে।
বৃহস্পতিবার ৪ দিনের জাপান সফর থেকে ফিরে নিজ মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন থেকেই জাতিসংঘের স্থায়ী পরিকাঠামোগত যে সংস্কারের দাবি উঠেছে, সেখানে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর কথা রয়েছে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে সংস্থার নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য পদ লাভের জন্য ইতিমধ্যে ৪টি দেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দিয়েছে। এর মধ্যে এশিয়ার ভারত ও জাপান ছাড়াও ইউরোপের জার্মানি এবং দক্ষিণ আমেরিকার ব্রাজিল মর্যাদা ও ক্ষমতা সম্পন্ন এ পদের জন্য প্রার্থী হিসেবে নিজেদের ঘোষণা দিয়ে রেখেছে।
তবে এই ভোটাভূটির এখনও বহু দেরী(প্রায় ৬বছর) থাকলেও এই মুহূর্তে জাপানকে সমর্থন করে ভারতের নতুন বিজেপি সরকারকে চাপে রেখে, তাদের সমর্থন আদায়ে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের একটি কৌশল হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
বর্তমানে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে রয়েছে রাশিয়া, চীন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্স।
ধারণা করা হচ্ছে, উল্লেখিত ৪টি দেশের মধ্যে ২টি রাষ্ট্রকে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়ার সুযোগ দেবে জাতিসংঘ। সেক্ষেত্রে জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের ভোটের মাধ্যমেই নির্ধারিত হবে কোন কোন দেশ ২০২০ সালের পরবর্তী সময়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হচ্ছে। এরজন্য আগ্রহী ৪টি দেশই নিজেদের দলে ভোট টানতে জোর লবিং চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সর্বশেষ জাপান সফরে বাংলাদেশের কাছে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যের জন্য আবারো ভোট প্রার্থনা করে জাপান সরকার। এমনকি জাপানকে সমর্থন দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে দু’দেশের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে।