আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘রাজনীতি করতে এসে অপরাধ করেনি এমন লোক খুব কমই পাওয়া যাবে। তবে কোনো কোনো পরিবার একটুখানি অপরাধ করলেই তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলে, অপপ্রচারকারীদের কিছুই হয় না। আবার ক্ষেত্র বিশেষে কোনো কোনো পরিবার অনেক বেশি অপরাধ করলেও তাদের বিরুদ্ধে একটি কথাও বলা হয় না।’
মঙ্গলবার দশম জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় (বাজেট) অধিবেশনে সংসদ সদস্য নাসিম ওসমানের মৃত্যুতে আনা শোক প্রস্তাবের সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ওসমান পরিবারের সঙ্গে আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক ছিল। কারণ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতি শুরু হয় নাসিম ওসমানের বাবা মরহুম শামসুজ্জোহা খান ওসমানের হাত ধরে। তবে এই পরিবারের বিরুদ্ধে সবসময় ষড়যন্ত্র হয়েছে। যখন যেই ক্ষমতায় এসেছে এই পরিবারের ওপর আঘাত করেছে। আইয়ুব খান থেকে শুরু করে পঁচাত্তর সাল, ২০০১ সালে এ পরিবাবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে।’
নাসিম ওসমান সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘মৃত্যুর আগে নাসিম আমার কাছে আসে, আমি ওকে ছোট্ট একটি কোরআন শরিফ দেই। ও খুব খুশি হয়েছিল। নাসিম প্রায়ই আমার সঙ্গে দেখা করতো। সব সময় বলতো, আপা আমার জন্য দোয়া করবেন।’
এসময় নাসিম ওসমানের ছেলে-মেয়েদের দেখাশোনার ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা সম্পর্কে বলেন, ‘যখন আযানের ধ্বনি শুনে মানুষ মসজিদে যায়, তখন খুনিরা ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে যায় বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করতে।
দলেরই সদস্য খন্দকার মোশতাক বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল। কিন্তু যারা জড়িত ছিল তাদের ফাঁসি দিয়েছি। কর্নেল ফারুক বিবিসিতে স্বাক্ষাৎকারে বলেছিল, আমি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছি। কে আমার বিচার করবে? তার স্বাক্ষাৎকারেই বলেছিল, এ হত্যায় জিয়ার সম্মতি ছিল। ষড়যন্ত্র এখনো চলছে। এ ব্যাপারে দেশবাসীকে সজাগ থাকতে হবে। আইন নিজস্ব গতিতে চলবে কেউ অপরাধ করলে তার বিচার হবে। তবে বিশেষ কোনো পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করা যাবে না।’