'৫ বছর আগে ডিজিটাল বাংলাদেশ ছিল অবাস্তব। আজ তা বাস্তব হয়েছে। তাই উন্নত দেশ হওয়ার স্বপ্নও আমাদের পূরণ হবে'। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি থেকে স্কাইপের মাধ্যমে সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বলেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৪ সম্মেলন ও প্রদর্শনীর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় এ মন্তব্য করেন। সমাপনী অনুষ্ঠানে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বলেন, আমরা বাংলা ভাষাকে ভালোবাসি। আমাদের বাংলা ভাষাকে ভালোবাসতে বাধ্য করা হয়েছিল। এগিয়ে যেতে হলে প্রতিবন্ধতা থাকবেই। এসব প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে আমরা এগিয়ে যাবো।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, আগামী ৫ বছরের মধ্যে আরো ৫ কোটি মানুষ ইন্টারনেট গ্রাহক হবেন। ১১ কোটি মোবাইল গ্রাহক যেহেতু রয়েছেন, তাই ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা বাড়াতে সক্ষম হবো। আগামী দু’বছরের মধ্যে ৪ হাজার ৫০০ ইউনিয়নে অপটিক্যাল ফাইবার পৌঁছে যাবে।
জ্বালানি ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, ১১ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। এই মুহূর্তে ৭ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছি। বর্তমানে বিদ্যুৎ সরবরাহ পদ্ধতির উন্নয়ন ঘটানো হয়েছে। বিদ্যুৎ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচিব নজরুল ইসলাম খান বলেন, ৫ হাজার কোটি টাকার হ্যান্ড সেট আমদানি করি। সেটের দাম সস্তা হওয়া উচিত। নতুবা প্রযুক্তি খাত এগোবে না। এফবিসিআই’র সাবেক সভাপতি আনিসুল হক বলেন, টেকনো ভিসতা নামে আমি একটি প্রতিষ্ঠান করি ১৪ বছর আগে। কিন্তু এখন পর্যন্ত লাভের মুখ দেখিনি। আমাদের বেইস লাইন এখনো তৈরি হয়নি।
শিক্ষাখাতে এত বিনিয়োগের পরেও মান বাড়ছে না। প্রযুক্তি খাতের ভালোলাগাটা মুনাফায় যেতে হবে। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) সভাপতি শামীম আহসান বলেন, কনটেন্ট সরবরাহ করতে পারলে ইন্টারনেটের ব্যবহার আরো বাড়বে।