আলাদা আলাদাভাবে দুই ছেলের সাথে সাক্ষাৎ হলেও একই সাথে পুরো পরিবার নিয়ে মেতে ওঠা হয়নি দীর্ঘ সাতবছর। চিকিৎসার খাতিরে এবার সে সম্ভাবনা জেগে উঠেছে।
তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকো ইতোমধ্যে পৌঁছে গেছেন সিঙ্গাপুর। এবার অপেক্ষার পালা মায়ের জন্য। তবে চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সিঙ্গাপুর যাওয়া এখনো অনিশ্চিত।
২ জুন বেগম জিয়ার সিঙ্গাপুরে যাওয়ার কথা থাকলেও আজ পর্যন্ত ঢাকায় তার কর্মসূচি রয়েছে। পায়ের ব্যথাসহ শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকা বেগম জিয়া এখন শারীরিকভাবে সুস্থ বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। গুলশান কার্যালয়ের একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে দৈনিক প্রথম বাংলাদেশ জানতে পেরেছে যে, বিএনপি চেয়ারপারসনের সিঙ্গাপুর সফর নিয়ে কোনো কিছুই সুনির্দিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে না যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
আরেকটি সূত্র বলেছে, বেগম জিয়া সিঙ্গাপুর গেলেও ১১ জুনের আগে নয়। তবে ওইদিন রাতেই তারেক রহমানের লন্ডনে ফেরার কথা রয়েছে। যদি তা-ই হয়, তাহলে মা-ছেলে দেখা হচ্ছে না।
সূত্রে জানা গেছে, আজ মালয়েশিয়া বিএনপি এবং যুবদলের উদ্যোগে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান উপস্থিত থাকবেন।
১১ জুন র্যাববিরোধী গণস্বাক্ষর কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও তার উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। যদিও বাংলাদেশে তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠরা বলছেন, তারেক রহমান কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেবেন না।
২ জুন তারেক রহমান লন্ডন থেকে মালয়েশিয়ায় আসেন। সেখানে তার ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোর সঙ্গে তার দেখা হয় সাত বছর পর। তখন শোনা গিয়েছিল, খালেদা জিয়া সিঙ্গাপুর যাবেন। সেখানে তারেক-কোকাও যাবেন। এদিকে বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের মধ্য সারির বেশ কয়েকজন নেতা এখন মালয়েশিয়া আছেন।তবে কেউ তারেক রহমানের সাক্ষাৎ পাননি। তিনি কারও সঙ্গে সাক্ষাৎ দেবেন না বলে ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দিয়েছেন।
তারেক রহমানের ব্যক্তিগত এক স্টাফ আমাদের বলেন, মালয়েশিয়ায় একান্ত পারিবারিক সফরে এসেছেন তারেক রহমান।দলীয় কোনো নেতা-কর্মীদের দেখা-সাক্ষাৎ না হওয়ারই কথা।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ভোরে সেনানিবাসের বাড়ি থেকে মা বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে গ্রেফতার হন আরাফাত রহমান কোকো। একই বছরের ৭ মার্চ গ্রেফতার হন তারেক রহমান। এর পর দুই ভাইয়ের আর দেখা হয়নি।
যদিও পৃথকভাবে তারেক রহমান ও কোকোর সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ হয় বিএনপি চেয়ারপারসনের। চিকিৎসার জন্য ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান লন্ডন যান।
একই বছরের ১৭ জুলাই জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরদিন চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড যান কোকো। একটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর থাইল্যান্ড থেকে মালয়েশিয়ায় আসেন তিনি। এরপর থেকে সেখানেই অবস্থান করছেন খালেদা জিয়ার এই ছোট ছেলে।