সবদলের অংশগ্রহণে আগাম নির্বাচনের ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে আবারও শুরু হয়েছে কূটনীতিকদের দৌড়-ঝাঁপ।
এরই অংশ হিসেবে ৫ জুন ঢাকায় এসেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিচালক উগো অস্টুটো।
এরই মধ্যে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ ঢাকায় অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও মিশন প্রধানদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি মিটিং করেছেন তিনি।
সূত্র জানায়, ৫ জুন ঢাকায় এসে ওইদিন বিকালেই যশোর যান উগো অস্টুটো। যশোরে দুই দিন অবস্থানের পর ৭ জুন শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকায় ফেরেন তিনি।
গুলশানের এক তারকা হোটেলে অবস্থানরত উগো অস্টুটো রোববার সকাল ৯টায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম হানার বাসায় বৈঠক করেন। সূত্র জানায়, ওই বৈঠকে সব দলের অংশগ্রহণে বাংলাদেশে একটি আগাম নির্বাচনের ব্যাপারে দীর্ঘ আলোচনা হয়।
একই দিন বিকাল সাড়ে ৩টায় নরওয়ের রাষ্ট্রদূতের বাসায় মিটিং করেন সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরিচালক। প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী, কানাডিয়ান হাই কমিশনার, ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত এবং মার্কিন দূতাবাসের একজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।
ওই বৈঠকে বাংলাদেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। সাম্প্রতিক গুম-খুনের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ তা আসু সমাধানের জন্য সব দলের অংশগ্রহণে আগাম নির্বাচনের তাগিদ দেন বৈঠকে উপস্থিত কূটনীতিকরা।
নরওয়ে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মিটিংয়ের পর রোববার রাতেই গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেন উগো অস্টুটো। ওই বৈঠকে খালেদা জিয়ার কাছে তিনি জানতে চান, আগাম নির্বাচনের জন্য সরকারের সঙ্গে সংলাপে বসতে বিএনপি রাজি আছে কি না?
জবাবে বেগম খালেদা জিয়া বলেন, আগাম নির্বাচনের জন্য যে কোনো সময় যে কোনো জায়গায় সরকারের সঙ্গে সংলাপে বসতে রাজি আছে তার দল। পাঁচ দিনের সফর শেষে মঙ্গলবার ঢাকা ছাড়বেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিচালক উগো অস্টুটো।