আজ সোমবার সংসদের টেবিলে উত্থাপিত এক প্রশ্নের জবাবে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনাকে কেন্দ্র করে সশস্ত্র বাহিনীর নেতিবাচক মূল্যায়ন করা যাবে না।
সিলেট-৫ আসনের সাংসদ সেলিম উদ্দিন এ-সম্পর্কিত প্রশ্নে বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তাদের র্যাবসহ বিভিন্ন বাহিনী এবং জনপ্রশাসনে প্রেষণে পদায়নের ফলে তাঁরা বিভিন্ন অপকর্মে সম্পৃক্ত হয়ে নিজস্ব বাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ন করছেন। তিনি জানতে চান, বিভিন্ন বাহিনী ও জনপ্রশাসনে তাঁদের প্রেষণে পদায়ন বন্ধ করে সব বাহিনী ও জনপ্রশাসনকে শক্তিশালী করার পরিকল্পনা আছে কি না।
জবাবে সৈয়দ আশরাফ বলেন, বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কোনো বাহিনী বা সংস্থার নেতিবাচক মূল্যায়ন সুবিবেচনাপ্রসূত হতে পারে না। কাজেই এ সব সংস্থায় বড় ধরনের সাংগঠনিক পরিবর্তন বা প্রেষণে নিয়োগ স্থগিত করার পরিবর্তে সমস্যা চিহ্নিত করে প্রচলিত ব্যবস্থার সংশোধন ও পরিমার্জন করাই অধিকতর ফলপ্রসূ হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস ও মাদক চোরাচালান চক্রের তৎপরতার কারণে বিশ্বব্যাপী অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সম্পর্কিত প্রচলিত ধ্যান-ধারণায় ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বর্তমানে সশস্ত্র বাহিনীকে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাব্যবস্থা সুসংগঠিত এবং শক্তিশালী করার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি প্রকল্পে সেনাবাহিনী নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে জনগণের আস্থা অর্জন করেছে বলে দাবি করেন সৈয়দ আশরাফ। তিনি বলেন, গণকর্মচারী ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মেধা ও দক্ষতার সংমিশ্রণে বিভিন্ন বাহিনী ও জনপ্রশাসনকে শক্তিশালী করা হবে।