আগাম নির্বাচনের জন্য যে কোনো মুহূর্তে সংলাপে রাজি আছেন বলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকদের জানিয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া। রোববার ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি প্রতিনিধি দল দেখা করতে গেলে বিএনপি চেয়ারপারসন তার এই ইচ্ছার কথা জানান; যদিও এই বিষয়ে সরকারের কোনো আগ্রহ এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না।
বৈঠকের পর বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, “প্রতিনিধি দলের নেতা উগো অসটুটো বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে জানতে চেয়েছেন, আপনারা সংলাপে বসতে প্রস্তুত কি না? “বেগম জিয়া স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠানে ঐক্যমতে পৌঁছাতে যে কোনো মুহূর্তে যে কোনো সময়ে দুই দলের মধ্যে সংলাপে বসতে রাজি আছেন।”
বাংলাদেশের মানুষও আগাম নির্বাচন নিয়ে দুই প্রধান দলের সংলাপের প্রত্যাশা করছে বলে দাবি করেন শমসের মবিন। রাতে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে যান ইউরোপীয় ইউনিয়নের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক উগো ওসটুটোর নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল। তাদের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে দ্বি-পক্ষীয় সম্পর্কের নানা দিকসহ বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও মানবাধিকারের বিষয় উঠে আসে বলে জানিয়েছে বিএনপির নির্ভরযোগ্য সূত্র।
খালেদার সঙ্গে বৈঠকের পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি। খালেদা জিয়া ইউরোপের কূটনীতিকদের বলেছেন, বাংলাদেশে বর্তমানে মানবাধিকার, আইনের শাসন ও গণতন্ত্র কোনো কিছুই নেই। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না ফিরলে অর্থনীতি ও বাণিজ্যে তার বিরূপ প্রভাব পড়বে। “জবাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের প্রধান বলেছেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মানবধিকার ও আইনের শাসনের বর্তমান পরিস্থিতিতে তারা তাদের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার কথা ইতোমধ্যে প্রকাশ করেছেন,” বলেন শমসের মবিন।
সাবেক এই কূটনীতিক বলেন, বিএনপি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে অতীতের মতো ভবিষ্যতেও সুসম্পর্ক বজায় রেখে কাজ করতে চায়। বৈঠকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে শমসের মবিন ছাড়াও ছিলেন রিয়াজ রহমান ও সাবিহ উদ্দিন আহমেদ। ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের মিশন প্রধান উইলিয়াম হানাও বৈঠকে ছিলেন।