দৈনিক প্রথম বাংলাদেশ প্রতিবেদনঃ টেকনাফের সেন্টমার্টিন দ্বীপ সংলগ্ন সাগরে মালয়েশিয়া যাওয়ার সময় মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) গুলিতে পাঁচ বাংলাদেশি নিহত হয়েছে। এছাড়া গুলিবিদ্ধ হয়েছে আরো অন্তত ৪০ জন। নিহতরা হলেন,যশোরের সেলিম ও রুবেল,বগুড়ার সাইফুল,সিরাজগন্জের মনির ও মোঃ ইসলাম।
বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনায় সাড়ে ৩শ যাত্রী নিয়ে ওই ট্রলার আটকা পড়ে। পরে কোস্টগার্ডের উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিকল ট্রলারসহ নিহত ও গুলিবিদ্ধ যাত্রীদের উদ্ধার করে।কোস্ট-গার্ড ইতিমধ্যেই অচল ট্রলারটিকে টেনে তীরে নিয়ে এসেছে এবং আহতদের হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমেদ দৈনিক প্রথম বংলাদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওই ট্রলারের যাত্রী মিঠুন সাহা মুঠোফোনে দৈনি প্রথম বাংলাদেশকে বলেন, ‘সেন্টমার্টিনের বঙ্গোপসাগরে পথে ৩শ যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার মালয়েশিয়ায় যাচ্ছিল। পথে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সদস্যদের বাধার মুখে চিতা পাহাড়ের কাছে ট্রলারটি আটকা পড়ে। এসময় বিজিপি সদস্যরা ট্রলার লক্ষ্য করে বৃষ্টির মতো গুলি করতে থাকে।’
বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সেখানে বিজিপি সদস্যরা থেমে থেমে গুলি চালায় বলে মুঠোফোনে জানান তিনি।
টেকনাফ কোস্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট হারুনুর রশীদ জানান, মুঠোফোনে ট্রলার থেকে একজন এ সংবাদ জানিয়েছে। তবে ওই ব্যক্তি হতাহতের খবর জানাতে পারেননি।
এ ঘটনার খবর পেয়ে তিনটি উদ্ধারকারী ট্রলার নিয়ে টেকনাফ থেকে কোস্টগার্ড সদস্যরা অচল ট্রলারটিকে উদ্ধারের ব্যবস্হা করে।এদিকে এই অবৈধ মানব পাচার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ আজ নরসিন্ধির শিবপূর থেকে কামল নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে।