DMCA.com Protection Status
title="শোকাহত

আজ বিশ্ব বাবা দিবস

fd3‘বাবা’ এই একটি শব্দ আমাদের মনের মধ্যে পরম নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তার একটি অনুভূতির জন্ম দেয়।

কারণ আমরা ছোটকাল থেকেই বাবার দিক থেকে অসীম মমতা মাখা নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পেয়ে আসছি। আমাদের প্রতি আমাদের পিতার ভালোবাসা প্রকাশের কমতি থাকে না পুরো বছর ধরেই। কিন্তু আমরা সন্তানেরা তাদের জন্য খুব কমই করে থাকি।

আর এরই প্রেক্ষিতে পিতার প্রতি সন্তানের ভালোবাসা প্রকাশের জন্য বিশেষভাবে যে দিনটি পালন হয়ে থাকে সেই দিনটিই ‘বাবা দিবস’। যদিও পিতার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের দিনক্ষণ লাগে না, তারপরও এই দিনটি শুধুমাত্র তাদের জন্যই উৎসর্গ করে আমরা ভালোবাসা প্রকাশ করে উৎযাপন করে থাকি।

Buxer Baby Portraitবাবা দিবসের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস:

বিশ্বের বেশীরভাগ দেশ ও জাতিগোষ্ঠীর পরিবারের প্রধান কর্তা ‘বাবা’। বাবা পুরো পরিবারের সকল দায়িত্ব তার নিজের কাঁধে নিয়ে সব ধরণের কষ্ট ও যন্ত্রণা সহ্য করে দায়িত্ব পালন করে চলেন। পরিবারের সকলের অন্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা নিরাপত্তার মতো বড় দায়িত্বগুলো বাবাই পালন করে থাকেন। অনেক ত্যাগ তিতিক্ষা করেই সন্তান মানুষ করে তোলেন পরিবারের আমাদের বাবা-মা। তাদের ত্যাগের প্রতিদান দেয়া সম্ভব নয় কোনো সন্তানের। তাদের এই মায়া মমতা, ভালোবাসা, ত্যাগ সকল কিছুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেই বাবা ও মা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিংশ শতাব্দীর প্রথম থেকে বাবা দিবস পালন করা শুরু হয়। বিশ্বের সকল পিতাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রকাশের ইচ্ছা থেকেই ‘বাবা দিবসের’ সূচনা। অনেকের ধারণা, ১৯০৮ সালের ৫ই জুলাই, আমেরিকার পশ্চিম ভার্জেনিয়ার একটি গির্জায় প্রথম এই দিনটি পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় ও পালিত হয়। আবার এটিও বলা হয়ে থাকে, সর্বপ্রথম সিনোরা স্মার্ট ডোড ১৯০৯ সালে ওয়াশিংটনের ‘ইয়াং ম্যান’স ক্রিস্টিয়ান এ্যাসোসিয়েশন’এ ‘বাবা দিবস’ পালনের কথা উত্থাপন করেন। এর ঠিক পরের বছর থেকেই অর্থাৎ ১৯১০ সাল থেকেই ‘বাবা দিবস’ পালন করা শুরু হয়। কিন্তু মা দিবস নিয়ে সকলের যেমন উৎসাহ ছিল তেমন উৎসাহ তারা ‘বাবা দিবস’ পালন নিয়ে দেখাতেন না। ১৯১৩ সালে আমেরিকার সংসদে প্রথম বাবা দিবসকে ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করার জন্য বিল পেশ করা হয়। অবশেষে ১৯৬৬ সালে প্রেসিডেন্ত লিন্ডন বি. জনসন বাবা দিবসকে ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা দেন। সেই থেকে পুরো বিশ্ব ‘বাবা দিবস’ পালনে উৎসাহী হয়। তবে বিশ্বের সকল দেশে ‘বাবা দিবস’ একই দিনে পালিত হয় না।

fdপুরো বিশ্বে বাবা দিবস:

বর্তমানে প্রায় ৮৭ টি দেশে অনেক উৎসাহের সাথে বাবা দিবস পালন করা হয়ে থাকে। সকল দেশে একই দিনে বাবা দিবস পালন করা হয় না। একেক দেশে ভিন্ন ভিন্ন তারিখে বাবা দিবস পালন করা হয়ে থাকে। প্রতিবছর জুন মাসের তৃতীয় রবিবার বাবা দিবস পালন করে বেশ কয়েকটি দেশ। মার্চের ১৯ তারিখে বাবা দিবস পালন করে বলিভিয়া, ইটালি, হন্ডুরাস, পর্তুগাল ও স্পেন। অন্যদিকে ইরান বাবা দিবস পালন করে ১৪ মার্চ। এছাড়াও ৫ জুন, ১৭ জুন, ২৩ জুন, ৮ আগস্ট, ২৪ আগস্ট, সেপ্টেম্বর ৫, ৫ অক্টোবর এবং ৫ ডিসেম্বরেও বাবা দিবস পালিত হয়ে থাকা নানা দেশে। মজার ব্যাপার হলো প্রতিবছর মে মাসের ৮ তারিখে একই সাথে মা ও বাবা দিবস পালন করে থাকে দক্ষিণ কোরিয়া।

‘কাটে না সময় যখন আর কিছুতে বন্ধুর টেলিফোনে মন বসে না জানলার গ্রিলটাতে ঠেকাই মাথা মনে হয় বাবার মতো কেউ বলে না আয় খুকু আয়, আয় খুকু আয়…।

’ হেমন্ত মুখোপাধ্যায় ও তার প্রিয় কন্যার গাওয়া এই গানটি আজও সকল সন্তানের মনে একধরণের স্মৃতিবেদনার অনুভূতি সৃষ্টি করে। ইদানীং ইন্টারনেট এবং টিভির প্রচারণার কারণে বাবা দিবস বেশ ঘটা করেই পালন করা হয়। কেউ কেউ বলে থাকেন, বাবা দিবসটা ঠিক আমাদের জন্য নয়। এটি বাইরের দেশগুলোর জন্যই প্রযোজ্য। বাবার জন্য আমাদের অনুভূতি প্রতিদিনকার। আমাদের কাছে বাবার জন্য ভালোবাসা প্রতিদিনের, প্রতিমুহূর্তের, প্রতিক্ষণের।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!