অবশেষে আত্মঘাতী বোমা হামলার উসকানিদাতা হিসেবে চিহ্নিত ড. বিলাল ফিলিপসকে একটি বিশেষ বিমানে করে ১৮ জুন সকাল বারোটায় বাংলাদেশ থেকে কাতারে ফেরত পাঠিয়েছে সরকার। ভিসা জটিলতা এবং দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় ড. বিলাল ফিলিপসকে ফেরত পাঠান হয়েছে।
একাধিক সূত্র আশঙ্কা করছিল, ড. বিলাল ফিলিপস বাংলাদেশে অবস্থানকালে দেশে বোমা হামলার মত ঘটনা ঘটতে পারে। এমনকি, ড. বিলাল ফিলিপসের বক্তব্য শুনে তরুণ সমাজে সন্ত্রাসবাদ বিস্তারের আশঙ্কাও করা হচ্ছিল। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি ও কেনিয়ার সরকারও সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থার অভিযোগে ড. বিলাল ফিলিপসকে সে দেশগুলোতে নিষিদ্ধ করেছে।
ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে এসে ঢাকা ও চট্টগ্রামের কয়েকটি স্থানে তরুণদের দাওয়াত দিতে এসেছিলেন ড. বিলাল ফিলিপস। তাকে বাংলাদেশে এনে তরুণদেরকে দাওয়াত দেওয়ার অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল সিয়ান পাবলিকেশন্স নামের একটি ইসলামী সংগঠন।
সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ থাকায় ড. বিলাল ফিলিপসকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না দিতে সরকারের উপর অব্যাহত চাপ বজায় রাখা হয়েছিল। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ড. বিলাল ফিলিপস নির্ধারিত সময়ের তিনদিন আগেই ১৭ জুন রাত সাড়ে এগারটায় মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকায় এসে পৌঁছেন। ঢাকায় পৌঁছে তিনি গুলশানের একটি রেস্ট হাউসে অবস্থান নিয়েছিলেন। তাকে বাংলাদেশে ঢুকতে দিলেও ভিসা জটিলতার কারণে প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য যে কোন রকমের অনুষ্ঠানেই অংশ নিতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। পরবর্তীতে সরকার বাংলাদেশে ঢুকার ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাকে ফেরত পাঠিয়েছে।
তরুণদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখার জন্য ড. বিলাল ফিলিপসকে বাংলাদেশে আনার উদ্যোগ নিয়েছিল সিয়ান একাডেমি নামের একটি ইসলামী সংগঠন। তারপরই ড. বিলাল ফিলিপসকে বাংলাদেশে এনে তরুণদের ‘দাওয়াত’ দিতে সক্রিয় আছেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের সাবেক চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে সঙ্ঘবদ্ধ একটি চক্র। এ নিয়ে অনলাইন দৈনিক প্রথম বংলাদেশে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পর ড. বিলাল ফিলিপসকে বাংলাদেশে ঢুকতে না দেওয়ার ব্যাপারে সরকারকে অব্যাহত চাপের উপর রেখেছিল একটি পক্ষ।