DMCA.com Protection Status
title="৭

সর্বোচ্চ আদালতের প্রত্যক্ষ সহযোগিতাঃ ৫ই জানুয়ারীর সংসদ নির্বাচনে ‘বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৩ জন প্রার্থী নির্বাচন বৈধ’

সংসদ-ভবনদশম জাতীয় সংসদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত প্রার্থীদের বৈধতা দিয়েছে হাইকোর্ট। কোন সংসদীয় আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার ঘোষণা-সংক্রান্ত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ১৯ ধারার বৈধতা নিয়ে করা রিট আবেদন খারিজ করে দেওয়ার মাধ্যমে নির্বাচিতদের বৈধতা দিল হাইকোর্ট। একই সঙ্গে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে ‘না ভোটের বিধান’ সংযোজনের নির্দেশনা চেয়ে করা অপর রিটটিও আদালত খারিজ করে দেয়।

১৯ই জুন বৃহস্পতিবার বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেয়। ১৮ই জুন বুধবার রিটের উপর চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয়। এরপর আজ রায়ের তারিখ ধার্য করে আদালত।

দৈনিক প্রথম আলোর প্রতিবেদনে জানান হয়, ১৮ই জুন শুনানিতে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাহমুদুল ইসলাম আরপিওর ১৯ ধারা অসাংবিধানিক নয় বলে জানান। আর দশম জাতীয় নির্বাচন যেভাবে হয়েছে, তা নীতিগতভাবে গ্রহণযোগ্য নয় বলেও তিনি দাবি করেন। ‘না ভোটের’ বিধান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আদালত এ বিষয়ে অভিমত দিতে পারে, তবে নির্দেশনা দিতে পারে না।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা-সংক্রান্ত ১৯ ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার আবদুস সালামের করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ই ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুল দেন।

কোনো সংসদীয় আসনে একক প্রার্থী থাকলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা-সংক্রান্ত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১৯ ধারা কেন সংবিধানের ৭, ১১, ২৭, ৩১ ৬৫ (২), ১২১ এবং ১২২ (১) অনুচ্ছেদ পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়। আদালত ১২ই মার্চ অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের আইনি সহায়তাকারী) হিসেবে মতামত দিতে জ্যেষ্ঠ ছয় আইনজীবীসহ সাতজনের নাম ঘোষণা করেন।

অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে আদালতে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন, রফিক-উল হক, আজমালুল হোসেন কিউসি, রোকনউদ্দিন মাহমুদ, মাহমুদুল ইসলাম এবং সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার মতামত দিয়েছেন। এর আগে গত নভেম্বরে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে ‘না ভোটের বিধান’ সংযোজনের নির্দেশনা চেয়ে দুই আইনজীবী একটি রিট করেন। প্রাথমিক শুনানির পর গত ২৪শে নভেম্বর হাইকোর্টের একই বেঞ্চ রুল দেন। রুলে ব্যালটে ‘না ভোটের বিধান’ সংযোজনে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।

দুটি পৃথক রিটের ওপর চূড়ান্ত শুনানি একসঙ্গে হয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা শুনানি করেন। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আল আমিন সরকার।

নির্বাচন কমিশনের পক্ষে আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম, আবদুস সালামের পক্ষে আইনজীবী হাসান এম এস আজিম, অপর রিটের পক্ষে আইনজীবী রেদোয়ান আহমেদ শুনানিতে অংশ নেন।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!