বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের সহধর্মিনী এবং প্রধান মন্ত্রীর মা, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের নামে পদ্মাসেতু করার প্রস্তাব করা হয়েছে জাতীয় সংসদে।
বৃহস্পতিবার দশম জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় (বাজেট) অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে এই প্রস্তাব করেন বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ। পরে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে ওই প্রস্তাব সমর্থন করেন সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ও স্বতন্ত্র জোট নেতা হাজী মো. সেলিম।
ফিরোজ রশিদ বলেন, ‘স্বাধীনতার পর এই বঙ্গজননীকে যদি বিন্দুমাত্র সম্মান জানানোর থাকে তাহলে তার নামে পদ্মাসেতু করা হোক। এটা সারা দেশের সাধারণ মানুষের ঐকান্তিক চাওয়া।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক জীবনে অনেক ত্যাগ তিতীক্ষায় বিমূর্ত প্রতীক ছিলেন তার সমধর্মিনী। বঙ্গবন্ধু যতবার জেলে গেছেন, বন্দি ছিলেন, রাজনৈতিক হয়রানির শিকার হয়েছেন ততবারই সঠিক দিক নির্দেশনা দিয়ে পাশে থেকে দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছেন। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের পরামর্শ দিয়েছেন ঘরে বসেই। দৃঢ় মনবল নিয়ে অটল ছিলেন দেশের মানুষের মুক্তি সংগ্রামে।’
ফিরোজ রশীদের বক্তব্যেও পরেই পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে তার প্রস্তাব সমর্থন করেন সাজেদা চৌধুরী।
বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব সম্পর্কে স্মতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে গেলেই তিনি দেশ ও মানুষের খোঁজখবর নিতেন। রাজনৈতিক নানা পরামর্শ দিতেন। এমনকি বঙ্গবন্ধু যখন জেলে থাকতেন তখন তিনি আওয়ামী লীগের নেতাদের ডেকে পরামর্শ দিতেন।’
তিনি বলেন, ‘এই বীর নারীর জন্য তেমন কোন স্মৃতি স্মারক তৈরি করতে পারেনি আমরা। এজন্য অনেক সংগ্রামের অনেক আশা আর স্বপ্নের পদ্মা সেতুর নাম বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের নামে নামকরণ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
সাজেদা চৌধুরীর পরে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়ান দশম সংসদের স্বতন্ত্র সদস্যদের জোট নেতা হাজী মো. সেলিম। তিনিও বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব নামেই পদ্মা সেতুর নামকরণের প্রস্তাব সমর্থন করেন।