রাজধানীতে ঢাকা মট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ফরমালিন বিরোধী অভিযানে পুলিশের বিরুদ্ধে ‘ফরমালিন বাণিজ্যের’ অভিযোগ উঠেছে। ফল ব্যাবসায়ীরা অভিযোগ করছেন, চেকপোস্টগুলোতে ফলবাহী ট্রাক চেক না করে ছেড়ে দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে দায়িত্বরত অসাধু পুলিশ সদস্যরা।
ঢাকা ওয়াইজঘাট ফল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস হাওলাদার শনিবার বিকেলে বাংলামেইলের এই প্রতিবেদকের কাছে অভিযোগ করেন, পাঁচ দিন আগে নয়াবাজার ব্রিজের সামনে পুলিশ চেকপোস্টে লিচুবাহী তার একটি ট্রাক পুলিশ ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে ফরমালিন টেস্ট না করেই ছেড়ে দেয়। এরকম অনেক ফল ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেই পুলিশ এভাবে বাণিজ্য করছে বলে জানান তিনি।
ফল ব্যবসায়ী এই নেতা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, ‘পুলিশেইতো ফরমালিন! তাদের নিজেদের আগে ঠিক হতে হবে। তারও আগে ঠিক করতে হবে যে ফরমালিন পরীক্ষার যন্ত্রটি।’
তিনি অভিযোগ করেন, একাধিকবার তারা এই যন্ত্র দিয়ে ফল পরীক্ষা করে দেখেছেন একই ফলে দুই ঘণ্টা আগে পরীক্ষা করে যেখানে ফরমালিন পাওয়া যায়নি সেই ফলেই ফরমালিনের উপস্থিতি ধরা পড়েছে।
ডিএমপির ফরমালিন বিরোধী অভিযানে শুধু রাজধানীতেই কমপক্ষে ১০০ কোটি টাকার ফল ইতিমধ্যে ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানান আব্দুল কুদ্দুস।
তিনি বলেন, ‘আমরাও চাই ফলসহ যে কোনো খাদ্যদ্রব্যই ফরমালিনমুক্ত হোক।’ চলমান অভিযানের ফলে রাজশাহীতে গাছ থেকে আপাতত ফল পাড়া বন্ধ রয়েছে বলে জানান তিনি।
জানা যায়, রাজধানীর প্রবেশমুখে আটটি চেকপোস্ট স্থাপন করেছে ডিএমপি। রাতে এসব স্থান দিয়ে ঢাকায় প্রবেশকারী ফলবাহী ট্রাকগুলোকে রাস্তার এক পাশে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। ভোর বেলা ম্যাজিস্ট্রেট এলে ফরমালিন পরীক্ষা করা হয়। কিছু অসাধু পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেট আসার আগেই ফলবাহী কিছু ট্রাক টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, ত্রুটিপূর্ণ যন্ত্র ব্যবহার ও ফরমালিনের বিরুদ্ধে অভিযানের নামে হয়রানির বন্ধের দাবিতে রাজধানীতে ধর্মঘট ডেকেছিলেন ফল ব্যবসায়ীরা। তবে শনিবার বিকেলে ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন তারা।