মানচিত্রে বিশ্বের সবচেয়ে প্রাণঘাতী রোগ চিহ্নিত হয়েছে হৃদরোগ। প্রথম থেকে তৃতীয় বিশ্বের সবদেশেই সর্বাপেক্ষা মারাত্মক প্রাণঘাতী রোগ হিসেবে একে চিহ্নিত করা হয়েছে। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, এই গ্রহের প্রায় ৭০ মিলিয়ন মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত।
তবে, বাংলাদেশে যক্ষা আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ মারা যায়। বিশ্বে সকল দেশ ও মহাদেশের সবচেয়ে প্রাণঘাতী রোগগুলোর তালিকা থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে। তালিকাটি প্রকাশ করেছে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমস।
ভারত, দক্ষিণ এশিয়া, ওশেনিয়া, রাশিয়ার মত স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে পয়লা নম্বরে আছে হৃদরোগ। তবে বিস্ময়করভাবে, ইউরোপের অধিকাংশ দেশেই সবচেয়ে প্রাণঘাতী রোগ হৃদরোগ, ক্যান্সার নয়! যুক্তরাজ্যে যেখানে ক্যান্সারের ছড়াছড়ি, সেখানে এই ফলাফল অনেকটাই অপ্রত্যাশিত। কিছুদিন আগে এক চ্যারিটি সতর্ক করে যে, যুক্তরাজ্যের প্রতি তিন জনে একজনই টিউমার আক্রান্ত। এই ব্যতিক্রম দেখা গেছে ফ্রান্স, আইবেরিয়ান পেনিনসুলা, অস্ট্রিয়া ও সুইজারল্যান্ডেও।
এইসব দেশগুলোর মারাত্মক রোগের তালিকায় ক্যান্সার সবচেয়ে শীর্ষ স্থানে অবস্থান করছে। গলা ও ফুসফুস ক্যান্সারই সবচেয়ে বেশি পরিচিত প্রাণঘাতী রোগ। নেদারল্যান্ড ও ডেনমার্কেও একই অবস্থা।
অত্যাধিক ধূমপান, অতিরিক্ত ফাস্টফুড অথবা এসব দেশে স্বাস্থ্যব্যবস্থা খুব বেশি প্রাধান্য না পাওয়াই এর কারণ কিনা- তা নিয়ে প্রশ্ন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।
মানচিত্রে চিহ্নিত লাল অংশটি হল এইচআইভি/এইডস-এর। আফ্রিকা মহাদেশ জুড়েই যার বিস্তার। এর সংক্রমণ ছড়ানো রোধে যথেষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া ও যারা ইতিমধ্যেই সংক্রমিত তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা সত্ত্বেও আফ্রিকা মহাদেশের প্রাণঘাতী রোগের মধ্যে প্রথম স্থান দখল করে আছে এটি।
থাইল্যান্ড হচ্ছে এশিয়ার একমাত্র দেশ যেখানে এইডস-এ আক্রান্ত হয়েই সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায়। চীন থেকে দেশটি যদিও খুব বেশি দূরে নয়, তারপরও চীনের সাথে এর মিল নেই। চীনে সবচেয়ে প্রাণঘাতী রোগ হল যকৃতের রোগ।
পৃথিবীর উত্তরে, মধ্য আফ্রিকা ও পাকিস্তানে সর্বাপেক্ষা প্রাণঘাতী রোগ টিউবারকুলোসিস। তবে বাকি বিশ্বের প্রাণঘাতী রোগগুলোর সঙ্গে মেক্সিকোর প্রাণঘাতী রোগের কোন সাদৃশ্যই নেই। মেক্সিকোই একমাত্র দেশ যেখানে অধিকাংশ মানুষ মারা যায় লিভার সিরোসিসে।