সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে বাংলাদেশিদের গচ্ছিত টাকা পাচার হওয়া কিনা, তা জানতে প্রক্রিয়া শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে,পাচারের প্রমাণ পাওয়া গেলে মামলা করে, আদালতের আদেশের মাধ্যমে, সেসব টাকা বাজেয়াপ্ত করে বাংলাদেশ ব্যাংকে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া।
সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক। এক সময় সুইস ব্যাংক কাউকে কোনো তথ্য দিত না। কিন্তু মানিলন্ডারিং আইন হওয়ার পর ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্কফোর্সের চাপে সুইস ব্যাংক কিছু তথ্য দেয়া শুরু করেছে।
সুইস ব্যাংক হিসেবে পরিচিত সেদেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশিদের টাকা থাকলেও সরকারি পর্যায়ে কোনো চুক্তি না থাকায় এখনো অনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তথ্য পায়নি বাংলাদেশ ব্যাংক।
মানিলন্ডারিংয়ের আওতায় বিশ্বের ২৪টি দেশের সঙ্গে করা সমঝোতা চুক্তি এবার সুইজারল্যান্ডের সঙ্গেও করতে যাচ্ছে সরকার। এই চুক্তির পরই সুইস ব্যাংকে থাকা অর্থ সম্পর্কে তথ্য আদান প্রদান করতে পারবে বাংলাদেশ।
এসব টাকা বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে এটা প্রমাণিত হলে তথ্যগুলো দুদককে দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। দুদক আইনগত প্রক্রিয়ায় তা বাজেয়াপ্তের ব্যবস্থা নিতে পারবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, টাকা ফেরতের বিষয়গুলো দীর্ঘমেয়াদী। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এসব টাকা ফেরত আনতে ১৮ বছরও সময় লেগেছে।