DMCA.com Protection Status
title="৭

রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের বিদেশ সফরে অঘোষিত ‘নিষেধাজ্ঞা’!

index13নিউইয়র্ক সফরে গিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে অযাচিত বিতর্ক সৃষ্টির পর রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে ভিন্নভাবে ভাবতে শুরু করেছে সরকারের উচ্চতর মহল। কেবল চিকিৎসার উদ্দেশ্য ছাড়া আর যে কোন কারণে রাষ্ট্রপতির বিদেশ সফরে যাওয়ার ব্যাপারেও অনীহা সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, রাষ্ট্রপতির বিদেশ ভ্রমণের ব্যাপারে অঘোষিত নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়েছে।

বলিভিয়ায় রাষ্ট্রীয় সফর শেষে ১৯ জুন নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দফতর পরিদর্শনে যান রাষ্ট্রপতি। পরিদর্শনকালে রাষ্ট্রপতি জাতিসংঘের মহাসচিবের সাথে এক বৈঠকে বলেন, সরকারের মেয়াদ শেষ হলেই ক্ষমতাসীন দল অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপে বসবে। ওই বৈঠকেই তালগোল পাকিয়ে ফেলেন রাষ্ট্রপতি। বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিব বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপের তাগিদ দেন। এর জবাবে রাষ্ট্রপতি বলেছেন, সংলাপের ব্যাপারে সরকারের কোনো কার্পণ্য নেই; তবে তা হবে বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষে।

এছাড়া, বৈঠকে আবদুল হামিদ বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সংস্থাটির মহাসচিবকে অবহিত করেন। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বান কি মুনকে জানান, ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করছে। জনগণের মাঝেও স্বস্তি এসেছে। তারা সংঘাত চায় না।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে আবদুল হামিদ জাতিসংঘের মহাসচিবের সাথে এইভাবে অযাচিত ও যেচে গিয়ে কথা বলে রাষ্ট্রীয় মর্যাদার হানি করেছেন বলেও তীব্র সমালোচনা করেছেন দেশের বুদ্ধিজীবিদের একটি অংশ। এছাড়া, রাষ্ট্রপতির এই ভূমিকার কারণে আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনার সুযোগ পেয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলোও।

সংলাপ ও নির্বাচন নিয়ে জাতিসংঘের মহাসচিবকে আশ্বস্ত করে রাষ্ট্রপতি যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার মাধ্যমে তিনি জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনকেও বলেছিল, এটি সাংবিধানিক ধারা রক্ষার নির্বাচন। এখন রাষ্ট্রপতি যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা আওয়ামী লীগ নেতাদের মিথ্যাচারের নমূনা মাত্র।

বিদেশে সফরে গিয়ে এইভাবে অপ্রয়োজনীয়ভাবে সমালোচনার পরিবেশ সৃষ্টি করায় আবদুল হামিদ চৌধুরী দেশের অভিভাবকত্ব করার যোগ্যতা হারিয়েছেন বলে মনে করছে সরকারের উচ্চতর মহল। এই পরিস্থিতিতে পরবর্তী অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়ানোর লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির ওপর বিদেশ ভ্রমণে অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে একাধিক সূত্র দৈনিক প্রথম বাংলাদেশকে নিশ্চিত করেছেন।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!