বাংলাদেশ থেকে ‘ভূয়া ফেসবুক লাইক কেনা-বেচার’ সংবাদ বিশ্বমিডিয়াগুলোতে উঠে এসেছে একাধিকবার। একারণেই, বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ফেসবুক পেইজে বাংলাদেশ থেকে ‘অস্বাভাবিকহারে’ লাইক থাকার পরিসংখ্যান প্রকাশ পাওয়ার পর এ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে সন্দেহ। অভিযোগ উঠেছে, টাকা দিয়ে হার্ভার্ড, ইয়েল কিংবা অক্সফোর্ডের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ নিজেদের ফেসবুক পেইজের লাইক বাড়িয়েছেন।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় ফেসবুক পেজের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেসবুক পেজের মোট লাইকের সংখ্যা ৩৩ লাখ। আর এই লাইকারদের অধিকাংশই ঢাকার ফেসবুক ব্যবহারকারী। সারা বিশ্বের মানুষের কাছে হার্ভার্ড পরিচিত হলেও ঢাকাবাসীর এত লাইক দেওয়ার বিষয়টিকে সন্দেহের চোখে দেখা হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত, নিজেদের সমালোচনা থেকে রক্ষা করতে বিবৃতি দিয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করার চেষ্ঠাও করেছে হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষ।
বিবৃতিতে বলা হয়, শিক্ষার্থী, ফ্যাকাল্টি, অ্যালামনাই ও অনুসারীদের কারণে আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতি অর্জন করেছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় আরো অনেক মাধ্যমের মত ফেসবুকেও আগ্রহী শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও গবেষকদের সাথে যোগাযোগ রক্ষার কাজে করে। আর হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় তাদের অফিসিয়াল পেজের ৩৩ লাখ বাংলাদেশীর লাইকের জন্য কোন অর্থই প্রদান করেনি।
অবশ্য অভিযোগের তীর পালটা ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের দিকেই। বলা হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার জন্য ফেসবুক ভূয়া লাইকের ব্যবসা করছে। কারণ যেই প্রতিষ্ঠানের যত বেশি লাইক, সেই প্রতিষ্ঠান ফেসবুককে ততবেশি অর্থ প্রদান করতে হবে। যদিও আয় বাড়াতে ভূয়া ফেসবুক লাইকের ব্যবসার অভিযোগটি অস্বীকার করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।