তিস্তা পানিবন্টন ইস্যুতে ভারতে জাতীয় ঐকমত্য গড়ার চেষ্টা চলছে বলে বাংলাদেশ নেতৃত্বকে আশ্বাস দিলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।
বিজেপি সরকার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর প্রথম উচ্চ পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বোঝাপড়া গড়ে তোলার প্রয়াসে সুষমার বাংলাদেশ সফরে তিস্তা ইস্যুতে আলোচনা কোনদিকে গড়ায়, সেদিকে নজর রয়েছে নানা মহলের। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে সফরের ক্ষেত্রে প্রথমেই বাংলাদেশকে বেছেছেন সুষমা।
এদিন তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশাপাশি সেদেশের বিদেশমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলির সঙ্গে বৈঠক করেন। আলোচনা ‘ফলপ্রসূ ও গঠনমূলক' হয়েছে বলে দাবি করেছেন তার সফরসঙ্গী সরকারি কর্মকর্তারা।
আলোচনায় জানা গিয়েছে, সুষমা বাংলাদেশ নেতৃত্বকে জানিয়েছেন, ১৩ বছরের কম, ৬৫-র বেশি বয়সের বাংলাদেশীদের ভারত সফরের ক্ষেত্রে টুরিস্ট ভিসার নিয়মাবলী শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়া দিল্লি। তাদের এক বছরের বদলে পাঁচ বছরের মাল্টিপল ভিসা দেওয়া হবে এবার থেকে। তাছাড়া ত্রিপুরার পালাটানায় গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে বাংলাদেশকে অতিরিক্ত ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি
পূর্বতন ইউপিএ সরকারের আমলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানালেন নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর তরফে হাসিনাকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বাংলাদেশ সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।
তিনিই আজ হাসিনার কার্যালয়ে তার সঙ্গে বৈঠকের সময় প্রধানমন্ত্রীর চিঠিটি তার হাতে তুলে দেন চিঠিতে মোদী ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের কাঠামো শক্তিশালী করার অঙ্গীকার করার পাশাপাশি আশা প্রকাশ করেছেন যে, দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে সমৃদ্ধি, বিকাশের লক্ষ্যে যৌথ প্রয়াস গড়ে তুলতে সহযোগিতার এক ‘নয়া অধ্যায়ে'র সূচনা হবে।
তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় তাকে শুভেচ্ছা-বার্তা পাঠিয়েছিলেন হাসিনা। সেজন্য হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে তার বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণও গ্রহণ করেছেন মোদি। প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে পাঠানো চিঠিতে বলেছেন, ভারতের কাছে বাংলাদেশ শুধুমাত্র প্রতিবেশীই নয়, এমন এক দেশ যার সঙ্গে আমাদের ইতিহাস, সংস্কৃতি, সভ্যতার সাদৃশ্য রয়েছে, দুটি দেশের মানুষের মধ্যেও গভীর সম্পর্ক আছে।গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, বহুত্ববাদ ও আইনের শাসন ভারত, বাংলাদেশের মধ্যে যোগসূত্র হিসাবে কাজ করছে বলেও উল্লেখ করেছেন মোদি।