পেনাল্টি স্যুট আউটে ৩:২ গোলে জয় নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছলো স্বাগতিক ব্রাজিল। চিলির সানচেস ও পিনিলার পেনাল্টি স্যুট আটকে দেন ব্রাজিলের গোলকিপার সিজার। এদিকে ব্রাজিলের হাল্ক ও উইলিয়ান মিস করেন পেনাল্টি স্যুট।
এর আগে অতিরিক্ত সময়েও ১-১ সমতায় নিয়ে ম্যাচ শেষ করে ব্রাজিল-চিলি। নব্বই মিনিটের উত্তেজনা পূর্ণ লড়াই শেষেও সমতায় ছিল। শেষ দশ মিনিটে গোলের খুব কাছাকাছি গিয়েও সফল হয়নি ব্রাজিলের ফরোয়ার্ডরা। এসময় গোল পেতে পারতেন নেইমার, জো ও হাল্ক। কিন্তু চিলির গোলরক্ষক ব্রাভোর দৃঢ়তায় সমতা বজায়ে রাখে চিলি।
ম্যাচের ১৭ মিনিটে প্রথমে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। গোল করেন ডেডিভড লুইস। নেইমারের সেট পিস থেকে বল হেড করে ডেভিড লুইসের পায়ে দেন থিয়াগো সিলভা। আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে গোল করেন তিনি। তবে ম্যাচের ৩১ মিনিটে আলেক্সিস সানচেসের গোলে সমতায় ফিরে চিলি (১-১)।
হরিজন্তের এস্টাদিও মিনেইরো স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচটি নির্ধারিত সময়ে সমতা বজায় থাকায় খেলা অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে গড়ায়। পরবর্তীতে নক আউট পর্বের প্রথম ম্যাচটিই মিমাংসিত হয় পেনাল্টিতে।
এদিকে ব্রাজিল গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচে ক্যামেরুন ও ক্রোয়েশিয়াকে হারায়। আর মেক্সিকোর বিপক্ষে ড্র করে ‘এ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে পরের রাউন্ডের টিকিট নিশ্চিত করে। অন্যদিকে স্পেন ও অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করে চিলি। তবে ‘বি’ গ্রুপের অন্য ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ধরাশায়ী হয় আলেক্সিজ সানচেসরা।
তবে দিগন্তের শহরে স্বাগতিক ব্রাজিলকে মোকাবেলার আগে তরজাতা হয়েই মাঠে নামে সামপাওলির শিষ্যরা। কিন্তু ইতিহাস এক্ষেত্রে চিলিয়ানদের আশায় জল ঢেলে দেয়। কেননা ব্রাজিলের মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে কখনোই জয় পায়নি পৃথিবীর লম্বক রাষ্ট্রটি। তাছাড়া সাম্বাদের বিপক্ষে বিশ্বকাপে দেখা হওয়া সর্বশেষ তিন ম্যাচেও জয়হীন চিলি।
নক আউট পর্বের প্রথম ম্যাচে চিলি পরীক্ষার সামনে ব্রাজিল দলে একটি পরিবর্তন দিয়ে শিষ্যদের মাঠে পাঠান কোচ লুইস ফিলিপ স্কলারি। টটেনহামের মিডফিল্ডার পলিনহোর বদলে সেরা একাদশে জায়গা দেন ম্যানসিটি তারকা ফার্নানদিনহোকে। এছাড়া কোয়ার্টার ফাইনালের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে চিলি দলেও দু’টি পরিবর্তন আনা হয়। নেদারল্যান্ডস ম্যাচে চিলির সাইডবেঞ্চ গরম করা জুভেন্টাস তারকা আর্তুরো ভিদালকে একাদশে ফিরিয়েছিলেন চিলি ম্যানেজার হোহে সামপাওলি। তাছাড়া রক্ষণভাগে জায়গা দেয়া হয়েছিল গ্যারি মেডেলকে। তারা খেলেছিলেনও ভালো কিন্তু ব্রাজিল গোলকিপারের কাছে দলের শেষ রক্ষা ঠেকাতে পারেননি।
ব্রাজিল একাদশ: জুলিও সিজার, দানি আলভেস, থিয়াগো সিলভা, ডেভিড লুইস, মার্সেলো, ফার্নানদিনহো, হাল্ক, ফ্রেড, নেইমার, অস্কার ও লুইস গুস্তাভো।
চিলি একাদশ: ব্রাভো, মেনা, ইসলা, সিলভা, আলেক্সিজ সানচেজ, আর্তুরো ভিদাল, এদুয়ার্দো ভার্গাস, মেডেল, জারা, আরানগুয়িজ ও দিয়াজ।