আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘পদ্মাসেতুর নাম পদ্মা সেতুই হবে। বিশেষ কোনো ব্যক্তির নামে হবে না।’
সোমবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত এনামুল হক শামীমের ওপর হামলার প্রতিবাদে এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার বোন শেখ রেহানা মিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে সংসদে আমাকে ডেকে নিয়ে জানিয়েছেন, পদ্মা সেতুর নাম পদ্মা সেতুই হবে। কারও নামে পদ্মা সেতুর নাম হবে না।’
যোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকে সংসদ এবং সংসদের বাইরে পদ্মা সেতুর নাম বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের নামে করার দাবি জানিয়ে আসছেন। এ দাবি যারা করছেন তারা শুধু আবেগের বশেই নয়, তাদের দাবির পেছনে যথেষ্ট যুক্তিও আছে। কারণ এ মহীয়সী নারী আড়াল থেকে অনেক কিছুই করেছেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বলেছেন, পদ্মা সেতুর নাম পদ্মা সেতুই হবে।’
ঈদের পর বিএনপির সরকার পতনের আন্দোলন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এ সদস্য বলেন, ‘বিএনপি যতই হুমকি দিক, আন্দোলন করার শক্তি, সাহস কোনোটাই তাদের নেই। গত পাঁচ বছরে তা বারবার প্রমাণিত হয়েছে। এখন আষাঢ় মাস। এ জন্যই আমি বলি, তাদের আষাঢ়ের তর্জন-গর্জনই সার।’
‘লেগে থাকলে হেরে যাবেন না কিন্তু রেগে গেলে হেরে যাবেন’ উপস্থিত সাবেক ছাত্রনেতাদের এমন উপদেশ দিয়ে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ ও ফেনীর ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর কঠিন অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যেভাবে আসামি ধরেছে, তেমনিভাবে শামীমের হামলাকারীদেরও ধরতে হবে। না হলে মানুষের আস্থা কমে যাবে।’
সভা পরিচালনা করেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম।
সংগঠনের সভাপতি এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন- আওয়ামী লীগ নেতা আহমেদ হোসেন, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা লিয়াকত শিকদার, মাহমুদ হাসান, মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী প্রমুখ।