সম্প্রতি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) গবেষণা রিপোর্টকে ‘সম্পূর্ণ অসত্য ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত’ বলে উল্লেখ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় সংসদে বেসরকারি সদস্যদের সিদ্ধান্ত-প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, অভিযোগের পক্ষে আপনাদের কাছে কী কী তথ্য-প্রমাণ আছে তা হাজির করুন। না হয় আপনাদের বক্তব্য প্রত্যাহার করে জাতির কাছে ক্ষমা চান।
শিক্ষামন্ত্রী টিআইবি’র নাম উল্লেখ না করে বলেন, আমাদের দেশে একটি প্রতিষ্ঠান আছে যারা নিজেদের আন্তর্জাতিক সংস্থা বলে দাবি করে। দু’দিন আগে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মনগড়া তথ্য দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে।
নাহিদ বলেন, আমরা যখন সরকারের দায়িত্ব নেই তখন দেশে ৫৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল। এসব বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে যেটুকু আইন ছিল তা ছিল প্রায় অচল। কঠোর আইন না থাকায় তখন এসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজই ছিল সার্টিফিকেট বিক্রি করা ও মুনাফা অর্জন করা। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কোনো কাজ ছিল না।
মন্ত্রী আরো বলেন, এখন দেশে ৭৯টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। ক্ষমতায় এসেই আমরা আইন সংশোধন করেছি। আইনটি সংশোধনের ফলে এখন আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অবৈধ কার্যকলাপ করার সুযোগ নেই। আর যখনই কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো অভিযোগ পেয়েছি তাৎক্ষণিক তদন্ত করে তা বন্ধ করে দিয়েছি। কিন্তু হাইকোর্ট থেকে স্থিতাবস্থা নিয়ে এসব বিশ্ববিদ্যালয় তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে এবং অবৈধ ক্যাম্পাস পরিচালনা করছে।
শিক্ষামন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, টিআইবির রিপোর্ট অনুযায়ী আমরা ঘুষ নিয়ে এসব অবৈধ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করার অনুমতি দিয়েছি বলে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সর্বৈব মিথ্যা।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রমে আমরা কোনো হস্তক্ষেপ করি না। শিক্ষাক্ষেত্রে সরকারের কৃতিত্ব ও অর্জনকে ম্লান করতেই ওই সংস্থা চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, টিআইবি যে অভিযোগ করেছে তার পক্ষে তাদের কাছে কোনো তথ্য-প্রমাণ নেই। মিথ্যা তথ্য দিয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হাসিলের জন্যই মনগড়া এসব রিপোর্ট প্রকাশ করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সংস্থাটি অভিযোগ করলেও এর পক্ষে কোনো তথ্য-প্রমাণ হাজির করতে পারেনি। টিআইবি যদি অবিলম্বে অভিযোগের পক্ষে তথ্য-প্রমাণ জাতির সামনে হাজির করতে না পারে তাহলে বোঝা যাবে শুধুমাত্র সরকারকে বেকায়দায় ফেলতেই সংস্থাটি এসব অজুহাত সৃষ্টি করছে।