কোয়ার্টার ফাইনালের বাধা পাড়ি দিয়ে বিশ্বকাপ শিরোপার আরও নিকটে আসল মেসিরা। সকাল দিনের পূর্বাভাস দেয় এই কথাটা সত্য করে আকাশী সাদারাই জয় নিয়ে জায়গা করে নিল শেষ চারে। আর চব্বিশ বছর পর শেষ চারে পাড়ি দিয়ে উল্লাসে মাতলো পুরো আর্জেন্টিনা শিবির। একই সঙ্গে ইডেন হ্যাজার্ডের বেলজিয়ামকে পরাজয়ের বৃত্তবন্দি থাকতে হলো শেষ পর্যন্ত। শনিবার ব্রাসিলিয়ার এস্তাদিও ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে বেলজিয়ামকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। আর সেই সঙ্গে ব্রাজিল বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিল বেলজিয়াম।
এদিন আর্জেন্টিনার খেলায় দলগত নৈপুন্যের ছোঁয়া পাওয়া গেল। মেসি-ডি মারিয়াও আলো ছড়ালেন। একই সাথে এই দিন জ্বলে উঠেছিলেন হুগুয়েনও। ম্যাচের শুরুতে গোল করে দলকে স্বাচ্ছন্দ এনে দিয়েছেন গঞ্জালো হিগুয়েন। মাঝ মাঠে বলের দখলে ম্যাচের প্রথম দিকে মোটামুটি দখল ছিল বেলজিয়ামের। তবে নিয়ন্ত্রণটা বেশি ছিল আর্জেন্টিনার। আর নিয়মিত আক্রমণে বেলজিয়ান ডিফেন্ডারদের ব্যাস্ত রাখে সাবেলার শিষ্যরা। কিন্তু বেলজিয়ামের আক্রমণ ছিল অগোছালো। তবু একাধিকবার গোলের সুযোগ তৈরি করেও ব্যর্থ হয়েছে তারা। আর আর্জেন্টিনার স্বপ্ন জয়ের পথে আরও একটা ধাপ রচনার দিনে ব্যর্থতাই শেষ পর্যন্ত লেখা হলো ওয়ালমটের শিষ্যদের নামের পাশে। অন্যদিকে ২৪ বছর পর আলবেসেলেস্তিদের সেমিফাইনালে পাড়ি দেয়ার মুহুর্তে গ্যালারিতে আকাশী সাদা জার্সি পড়া আর্জেন্টিনার সমর্থকরা আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেন।
ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। আট মিনিট পার হতেই গোল করে দলকে এগিয়ে নেন আর্জেন্টিনার ফরোয়ার্ড গঞ্জালো হিগুয়েন। ডি মারিয়ার পাস থেকে বল পেয়ে ডি বক্সের লাইন থেকে ডান পায়ের শটে বল বেলজিয়ামের জালে জড়ান তিনি। পিছিয়ে পড়ে খেলায় ফিরে আসার চেষ্টায় মড়িয়া হয়ে খেলছিল উইলমটের শিষ্যরা। আর ২৬ মিনিটেই তারা সুযোগ পায় গোলের। কিন্তু এসময় ডি ব্রুইনির শট আটকে দেয় আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক রোমেরো।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে একাধিক গোলের সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি হিগুয়েন। ম্যাচের ৬১ মিনিটে ফেলিনির হেড বাইরে চলে না গেলে সমতায় ফিরতে পারত বেলজিয়ানরা। কিন্তু সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। এরপর আবেসেলেস্তিদের রক্ষণভাগে আতঙ্ক ছড়াতে থাকে লুকাককো-ব্রুইনিরা। শেষ পর্যন্ত বেলজিয়ামের সকল প্রচেষ্টার সমাপ্তি টানলো রেফারির শেষ বাঁশি। আর ম্যাচ শুরুর একমাত্র গোলেই জয় নিশ্চিত হলো আর্জেন্টিনার। সাবেলার শিষ্যদের স্বপ্ন ছোঁয়ার পথে অগ্রযাত্রার এই দিনে বেলজিয়ামের বিদায় বার্তাটা লেখা হয়ে গেল এস্তাদিও ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে। আর গ্যালারিটা একখণ্ড আর্জেন্টিনায় পরিণত হলো। উল্লাসে মাতলো কোটি কোটি আর্জেন্টিনা ভক্ত।