জাতীয় পার্টি না থাকলে আওয়ামী লীগ কখনই ক্ষমতায় আসতে পারতো না। আওয়ামী লীগ নেতাদের এ কথাটা মনে রাখার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন পার্টির চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে শ্রমিক পার্টি আয়োজিত এক ইফতার পার্টিতে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন।
এরশাদ বলেন, ‘এবার যে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে, কি করে এসেছে? জাতীয় পার্টি না থাকলে কি সরকার ক্ষমতায় আসতে পারতো? এ কথা আওয়ামী লীগের নেতারা ভুলে যাবেন না। আমরা না আসলে আপনারা ক্ষমতায় আসতে পারতেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ না নিলে সংবিধান থাকতো না, গণতন্ত্র থাকতো না। আমরা নির্বাচনে এসে গণতন্ত্র ও সংবিধানকে রক্ষা করেছি। আমাদের এ অবদানের কথা আশা করি কখনই ভুলে যাবেন না।’
আজ দেশ খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ দাবি করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরাই দেশকে খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ করে গেছি। এর দাবিদার বর্তমান সরকার নয়, জাতীয় পার্টি।’
তিনি বলেন, ‘দেশে আজ অস্বস্তি। মানুষ আজ স্বস্তি চায়, মুক্তি চায়। কিসের মুক্তি চায়? চাঁদাবাজির, সন্ত্রাসের মুক্তি চায়। টেন্ডারবাজির মুক্তি চায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে মারামারি দেখতে চায় না। গডফাদারদের হাত থেকে মুক্তি চায়। শান্তিতে থাকতে চায়।’
দেশে এখন সুশাসনের অভাব চলছে দাবি করে সাবেক এ রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, ‘দেশে আজ সুশাসন নেই। সুশাসনের অভাব বলেই শ্রমিক ও ছাত্র, কৃষকদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। দেশে সুশাসনের প্রয়োজন। ইনশাআল্লাহ আমরা দেশে সুশাসন নিয়ে আসব।’
দেশ থেকে টেন্ডাবাজি ও চাঁদাবাজি দূর করার জন্য সরকারকে পরামর্শ দিয়ে এরশাদ বলেন, ‘দেশে কর্মসংস্থান নেই বলেই বেকার যুবকরা আজ ফেনসিডিল খায়। তাই তিনি সরকারকে কর্মসংস্থান করে টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজি বন্ধ করার পরামর্শ দেন।’
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রেজাউল হক ভূঁইয়া, সংসদ সদস্য আবু হোসেন বাবলা, কাজী ফিরোজ রশিদ প্রমুখ।