‘শৃঙ্খলা ভঙ্গের’ দায়ে সাকিব আল হাসানকে ছয় মাসের জন্য সকল প্রকার ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে পুরো বাংলাদেশ সহ সকল সামাজিক যোগাযোগের সাইট গুলো। বিসিবির এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে দেওয়া ফেসবুক পোস্টগুলোর একটি সংকলন প্রকাশ করলো দৈনিক প্রথম বাংলাদেশঃ
বড় মানুষকে কিভাবে ধারণ করতে হয় বিসিবি’র বেঁটে মানুষগুলোর তা জানার কোন কারণ নাই। আমাদের এ সময়ের সবচে উঁচু মানুষটিকে যারা ছেঁটে ফেলতে উদ্যত তারা নিপাত যাক।
এ তো লঘু পাপে গুরুদণ্ড!! এ স্রেফ বোর্ডের স্বেচ্ছাচারিতা আর কাপুরুষতা !!
এটা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তাঁকে সিরিয়াস সতর্ক বার্তা দেওয়া যেত। বাংলাদেশে সাকিব একজন কিন্তু পাপন লক্ষ জন। আমিও মনে করি শাস্তির প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এতটা কি প্রাপ্য ছিল !!! শৃঙ্খলা ভঙ্গের শাস্তি দিতে যেয়ে আমরা আমাদের শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড়কে গলা টিপে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নিলাম, তাই নয় কি?????
সাকিবকে শাস্তি দেওয়ার ব্যাপারে হুঙ্কার দেখে বোর্ড সভাপতি পাপনকে স্রেফ কাপুরুষই মনে হল এর বেশী কিছু না। আসলে গার্মেন্টস চালানোর অভিজ্ঞতা নিয়ে ক্রিকেট বোর্ড চালাতে আসলে বিপত্তি ঘটতেই পারে। পাপন সাহবে যোগ্যতা দিয়ে বোর্ড সভাপতি হননি হয়েছেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি বাবার জোরে।
এই অযোগ্য বোর্ড সভাপতির পদত্যাগ চাই !!! এই অযোগ্য বের্ড সভাপতির পদত্যাগ চাই !!!
এর থেকে সাবের হোসেন চোধুরীই অনেক বিজ্ঞ। এছাড়া আমাদের প্রাক্তন অনেক ক্রিকেটার আছে তাঁদের কাছেই বোর্ড পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া উচিত।
যারা এত্তদিন ধরে সাকিবের বিরুদ্ধে চারিদিক মাতালেন তারা এবার নাকে তেল দিয়ে ঘুমুতে পারেন কারণ আপনাদের অভিলাস পূর্ণ হয়েছে।
সাকিব, তারপরও আশা করি তুমি ভেঙ্গে পড়বে না, তুমি ফিরে আসবে, ফিরে আসতেই হবে।
সাকিব দোষ করছে। সাকিবের তার কৃত কর্মের উপযুক্ত শাস্তি পাইছে। গুড হইছে, ভাল হইছে। হাততালি দিলাম। মারহাবা মারহাবা বলে বিসিবি’র পিঠ চাপরানি দিলাম। ব্যাপক কাজ করে ফেলছেন আপনারা। পুরাই আসল পুরুষ। পাপ্পুন ভাই এবার নিজেই আসল পুরুষের বিজ্ঞাপন করতে পারেন।
সাকিব কার সম্মতিতে যেন বিদেশে গেছে? ও সরি। ভুল হইছে। এই প্রশ্ন করতে মানা। সাকিবতো যার সম্মতিতে গিয়েছিল বিসিবি তো তার পারিবারিক সম্পত্তি। তাকে নিয়ে কোন প্রশ্ন করবোনা। উহু, কাভি নেহি।
আচ্ছা সাকিব এই ছয় মাস ক্রিকেট না খেললে কার ক্ষতি হবে? পাপ্পুন ভাই সরি। এই ক্ষতির কথা জিজ্ঞেস করেও ভুল হয়ে গেছে। এটাতো আপনার ব্যক্তিগত ক্ষতির তালিকায় পরবেনা।
আচ্ছা ভিতরে ভিতরে কি কি কোন্দল করছে সাকিব এইটা তো ক্লিয়ার হইলাম না। আর কোন কোন প্লেয়ার সাকিবের নামে নালিশ করেছে সেটাওতো জানলাম না। ও আচ্ছা সরি। থাক ভাই এটা জানতে চাইবোনা। ভুল হয়ে গেছে। আপনারা বড় জায়গায় আছেন। বড় মানুষ। আপনাদের কাছে গিয়ে লুতপুতু না করে আপনাদের নাকের ডগার উপর দিয়ে কথা বলেও যারা ভাল পারফর্ম করে যাচ্ছে তারা সব ছোটলোক। ওদের উচিত পারফর্মেন্স এর দিকে যতটা মনোযোগি হওয়া তার চেয়ে অধিক মনোযোগি হওয়া আপনাদের পা চাটাতে।
দেখেছি আশরাফুল, শাহরিয়ার নাফিস, রাজিন সালেহ, অলোক কাপালীরা আপনাদের কাছে কতটা সহযোগিতা পেয়েছে। দেখেছি আপনাদের অভিজ্ঞ নার্সিং। দেখেছি আপনারা কিভাবে অসাধারন দক্ষতায় একজন প্রতিভাবান খেলোয়ারকে বলদে পরিনত করতে পারেন।
সাবাস পাপ্পুন ভাই, বাংলাদেশের ক্রিকেট কে ধংস করার সব আয়োজন সম্পন্ন। ওয়েল ডান। যুগে যুগে তোমরা আশরাফুলদের ট্রাপে ফেলবে কিন্তু এর পেছনের রাঘব বোয়ালদের ধরতে পারবেনা, যুগে যুগে তোমরা সাকিব আল হাসানদের নিষিদ্ধ করবে কিন্তু আকরাম খানদের কিছু বলবেনা। এটা স্বাভাবিক। এর বাইরে আশা করাটাই অস্বাভাবিক।
সকলে বলুন, ভ্যালারে পাপ্পুন_তোরা বেঁচে থাক চিরকাল!
প্রতিভাবানদের বিনয়ী হওয়া আবশ্যিক কী-না এই বিতর্ক বহুদিনের পুরনো। এখনো প্রশ্নটি উঠলে স্পষ্টতই দ্বিধাবিভক্ত উত্তর পাওয়া যাবে। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি – প্রতিভার সঙ্গে বিনয়ের সম্মিলন ঘটলে সেটি অপূর্ব এক নিদর্শন হয়ে ওঠে বটে, কিন্তু প্রতিভাবানদের বিনয়ী হতেই হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা থাকা উচিত নয়। জগতের বহু প্রতিভাবান মানুষের ভেতরে দুর্বিনীত হওয়ার প্রবণতা দেখা গেছে বহুকাল ধরে। ক্ষ্যাপাটে-পাগলাটে আচরণ, অহংকার, রাগ, দ্রোহ, প্রতিষ্ঠানকে চ্যালেঞ্জ জানানোর সাহস ও গোয়ার্তুমি – এসবই প্রতিভাবানদের চরিত্রের সঙ্গে মিশে থাকে। কেউ কেউ হয়তো পরিশীলিত হয়ে ওঠেন, এগুলোর প্রকাশ ঘটান না, কেউ কিছু না ভেবেই প্রকাশ করেন। আর তখন মুর্খ-নির্বোধ-অযোগ্য-উদ্ভট সব প্রতিষ্ঠান তাঁদের ওপর ঝাপিয়ে পড়ে। সাকিবের ক্ষেত্রে সেটিই ঘটেছে। সাকিবের আচরণগত সমস্যা আছে, তিনি দুর্বিনীত, হট-টেম্পারড, বেয়াদব ইত্যাদি অভিযোগ মেনে নিলেও এটা অস্বীকার করার কোনো উপায়ই নেই যে সাকিব যে কোনো পরিস্থিতিতে নিজের সর্বোচ্চ ভালো খেলাটি উপহার দিয়েছেন দলকে, দেশকে। শত বিতর্ক, শত সমালোচনা, শত বিদ্রুপও তাঁকে তাঁর খেলার প্রতি কমিটমেন্টকে নষ্ট করতে পারেনি। তাঁকে ছয় মাসের জন্য নিষিদ্ধ করা এবং প্রয়োজনে সারাজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করার হুমকি কোনো বিচারেই গ্রহণযোগ্য নয়। দেশের একজন নাগরিক হিসেবে আমি এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে রাখলাম।
আরেকটা কথা, ক্রিকেটারদের পারফরমেন্স বোঝা যায় মাঠে, তাদের আচরণগত ত্রুটির কারণে শাস্তিও দেয়া যায়। কিন্তু ক্রিকেট বোর্ডের কর্তাদের পারফরমন্সের জন্য কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করার উপায় কী? বোর্ড সভাপতি, পরিচালকবৃন্দ, নির্বাচকবৃন্দ সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছেন কী না – সেই জবাবদিহিতা কেন নেই? কেন তারা সব প্রশ্নের ঊর্ধ্বে? সাবের হোসেন চৌধুরীর পর যেসব সভাপতি এসেছেন বোর্ডে, পরিচালক ও নির্বাচকরা এসেছেন তাদের সবার কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহিতার ব্যবস্থা করা হোক। শুধু ক্রিকেটাররাই ভুগবেন কেন, বোর্ড-কর্তারা কি ঈশ্বর-প্রেরিত মহাপুরুষ?
২০১২ তে আমি হিথ্রো হয়ে ফিনল্যাণ্ড যাবার সময় লন্ডন এ ঢুকছি , ইমিগ্রেসন অফিসার একজন ব্রিটিশ আমাকে বললেন , ওহ , ইউ আর ফ্রম সাকিবস কান্ট্রি ! গর্বে বুক ভরে উঠার আগেই পেছনে দাড়ানো শ্রীলংকান একজন বললেন , শোন , আমি চ্যাম্পিয়ন দেশের মানুষ , আমি বলছি এই ছেলেটা আসলেই পৃথিবীর সেরাদের একজন , তোমাদের দল তার সাপোর্ট দিতে পারে না , নইলে আরো ভালো খেলত … ঈর্ষা , হিংসা আর ঘৃণায় ভরা এই দেশে তৃতীয় সারির এক কোচ আর মানহীন নির্বাচকের অহংকারের কাছে সাকিব এর অভিমান দোষী হয়েছে , লোটা আর পাপ্পু দের জয় হোক ! গুনির ভার সইতে পারে এমন বৃক্ষ এরা নয় , এরা নিতান্তই লতাগুল্ম
মাত্র ছয় মাস! এক বছর নিষিদ্ধ করা উচিত ছিল! বেশি বেদ্দপ হয়ে গেসে পোলাটা! দেড় বছরের জন্য লীগে খেলা বন্ধ! খুব ভালো হইসে! বেশি টাকা হইসে পোলার! সুন্দরী বউ নিয়ে রেস্টুরেন্টে খাইতে যাও! কই, যাওয়ার সময় পাপন আংকেলরে তো একটা ডাক দাও না! হেলিকপ্টারে করে বাড়িত যাওয়া এবার বন্ধ হবে!
প্রিয় সাকিব,
তুমি ভুল সময়ে ভুল জায়গাতে জন্ম নিয়েছিলে এবং প্যাশন হিসাবে তুমি ভুল জিনিস কে বেছে নিয়েছিলে।
মধু খুবই উপকারী এবং ভাল জিনিস, কিন্তু বেশি খেয়ে ফেললে সমস্যা।
তুমি আর দশটা সাধারণ প্লেয়ারের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসে এই ক্রিকেট বোর্ড তথা দেশটাকে মধুর পরিমাণ টা একটু বেশিই দিয়ে ফেলেছিলে।
তাই তোমার মত ক্যালিবার এর প্লেয়ার কে হজম করতে ক্রিকেট বোর্ড এবং এদেশের তথাকথিত ‘ক্রিকেটপ্রেমী’ এবং ‘দেশপ্রেমী’ মানুষগুলোর সমস্যা হবার ই কথা…
যে দেশের মানুষগুলো নিজের জাতীয়তা এবং পতাকা কে ভুলে অন্য দেশের পতাকা এবং জাতীয়তা নিয়ে মাতামাতি এমন কি রক্তারক্তি করে, তখন তাদের যুক্তির অভাব হয়না বা সমস্যা হয়না। কিন্তু কোন পরিস্থিতিতে গেলে দেশের সবচেয়ে বড় তারকা খেলোয়াড় “দেশের হয়ে খেলবনা” বলতে পারে সেটার পেছনের কারন কিংবা কথাটা আদৌ সাকিব বলেছেন কিনা সেটা অনুসন্ধান করার মত মানসিকতা তাদের মধ্যে খুজে পাওয়া যাবেনা।
সেজন্য সাকিব কেন দেশকে নিয়ে এমন কথা বলল এই টাইপ সস্তা আর হুজুগে জাতীয়তা নিয়ে মাতামাতি করা অন্তত তাদের সাজেনা। কারন আমাদের দেশপ্রেম এবং জাতীয়তাবাদ কেবল মুখ আর কিবোর্ড পর্যন্তই, মাঠে নেমে সাকিবের মত আউটপুট দেবার যোগ্যতা এবং ক্যাপাবিলিটি আমাদের কারোর ই নেই।
ক্রিকেট বোর্ডের স্বেচ্ছাচারিতা যদি এভাবে চলতে থাকে, কোনো সন্দেহ নেই সাকিব নামক ভীনগ্রহের খেলোয়াড় টি একদিন “এক দেশে এক সাকিব ছিল…” টাইপ পংক্তির মধ্যে তে স্থান পাবে।
এ দেশে যারা বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের নেগেটিভ ইমেজ তৈরি করে বড় বড় খুনী, ব্যাংক ডাকাত আর লুটেরা হয়, ওদের কোনো শাস্তি হয়না।
আর যাদের কারনে সারা পৃথিবীর কাছে বাংলাদেশ নামক একটি দেশের পজিটিভ ইমেজ তৈরি হয়, তাদের লঘু পাপে গুরুদন্ড দিতে আমাদের মোটেও সময় লাগেনা।
শেইম অন ক্রিকেট বোর্ড। শেইম অন আস।
Bhupen Kishor Das
সাকিবকে ছয়মাসের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সর্যি, শাস্তিটা মানতে পারলাম না। শাস্তিটা বেশিই হয়ে গেছে বলে মনে করি। ব্যাপারটা সাকিবের প্রতি পাপনের ব্যক্তিগত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ মনে হয়েছে। সাকিব যখন এতবড় শৃঙ্খলাভঙ্গকারী, তাহলে একবছর নিষিদ্ধ করলেই তো পারতে। কি দরকার ছিল এত কম শাস্তি দেয়ার? সাতমাস পর বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপে সাকিবকে দরকার পড়বে বুঝি। তাই ছয় মাসের শাস্তি দিয়ে বিশ্বকাপের আগ মুহূর্তে সাকিবকে দলে নিবে। বাহ, পাপন বাহ! চরম বুদ্ধি আপনার। আপনি মহান। দল এত খারাপ পারফরম্যান্স করে। বাজে পারফরমাররা দলে বার বার থেকে যায়। কোন ব্যবস্থা নিতে পারেন না। এমনকি দশ ম্যাচে দশ রান করা খেলোয়াড়রা দিনের পর দিন দলে থেকে যায়। তাদের বাদ দিতে পারেন না। আর যত চুলকানি সব সাকিবকে নিয়েই। ওয়েল ডান পাপন। আপনি সত্যিই অতুলনীয়।
একটা সময় সাকিবকে একদম পছন্দ করতাম না তার আচরণের কারণে। কিন্তু গত ছয়মাস ধরে সাকিবের প্রতি বিসিবির এত বেশি চুলকানি বেড়েছে যে কথাগুলো এভাবে না বলে পারলাম না। একটা খেলোয়াড় আর সবকিছুর উপরে মানুষ। একটা মানুষকে সবসময় ডিস্টার্ব করলে নিজেকে কন্ট্রোলে রাখা সত্যিই কঠিন। আবারও বলি, সাকিবের পক্ষাবলম্বন করছি না। শুধু এটাই বলব, শাস্তিটা বেশি হয়েছে।
এটা একান্তই আমার ব্যক্তিগত মতামত। কারো ভাল না লাগলে এড়িয়ে চলবেন।
চন্দ্রিকা হাথুরাসিংহের মতো একটা ছাগল সাকিবের মতো একজন ওয়ার্ল্ড ক্লাস প্লেয়ারকে হ্যান্ডেল করতে পারবেনা এটাই স্বাভাবিক। বিষয়টাকে সে অনেক লাইটলি নিতে পারতো, সাকিবকে বুঝিয়ে বলতে পারতো ফিরে আসতে – সেটা সে করে নাই। সে বাংলাদেশ টিমের শুভাকাঙ্ক্ষী – এটা আমি বিশ্বাস করিনা।
যাই হোক, বাকি ঢোলের বাড়ি দিয়েছেন পাপন সাহেব। এদেরকে দিয়েই বাংলাদেশ ক্রিকেটের উন্নতি হবে – সাকিব-মাশরাফি-তাসকিনদের দিয়ে হবেনা। ধন্যবাদ বিসিবি। এগিয়ে যাও।
ভদ্রলোকের খেলা ক্রিকেট যেদিন ভারতের অভদ্র মারোয়ারী ব্যবসায়ীর হাতে পড়েছিলো, সেদিনই সর্বনাশের শুরুটা হয়েছিলো। সাবের হোসেন চৌধুরী নিজেই বনেদী মানুষ ছিলেন, তাই ফকিন্নির মত ভারতের দয়া-দাক্ষিণ্যে ব্যক্তিলাভের চেয়ে দেশের স্বার্থকে বড় করে দেখতেন। তার দেখাদেখি তখনকার খোলোয়াররাও বাণিজ্যিক ক্রিকেটে না মজে দেশের স্বার্থে খেলতেন।
এরপর এলো লোটাস আর পাপনের যুগ। বাণিজ্যিক ক্রিকেটের জোয়ারে ভাসলো বাংলাদেশ ক্রিকেট। আইসিসি চেয়ারম্যান পদটির অফিস সহকারী হিসেবে সৃষ্ট ‘সভাপতি’ পদের লোভে লোটাস-পাপন দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিলো। বাংলাদেশকে এখন ওয়ানডে স্ট্যাটাসবিহীন দেশের সাথে কোয়ালিফাইং রাউন্ড পার হয়ে আট এলিট দেশের সঙ্গে বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলতে হবে! ভারতীয় আইপিএল এ দেশের সেরা ক্রিকেটারদের বিক্রি করা হলো, দেখাদেখি নিজের দেশেও বিপিএল চালু করে জুয়ার আসর বসানো হলো। আশরাফুলের মতো খেলোয়াড়কে টোপ দিয়ে ফাঁদে ফেলা হলো…।
নিজের ঘরের মেয়েকে যদি কেউ পদোন্নতির লোভে/ টাকার লোভে বেশ্যাবৃত্তিতে নামায়, তাহলে সেই মেয়ে তো আরো বেশি টাকা কামানোর জন্য বেশ্যাবৃত্তিকেই পেশা হিসেবে বেছে নিতেই পারে। তাই নাফিস, কাপালী, আশরাফুল, সাকিবদের বাণিজ্যে নামিয়ে, টাকার গন্ধ চিনিয়ে, এখন লোটাস-পাপনরা কেন সাধু সাজবেন?
সাকিব আল হাসান গতকাল দেশে ফিরে যে ব্যাখ্যা দিয়েছে, তা শোনার পরও তাকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করতে হলে লোটাস-পাপন, এবং ‘প্রথম আলো’কে বাংলাদেশের ক্রিকেট ধ্বংস করার দায়ে ফায়ারিং স্কোয়াডে পাঠানো উচিত।
সাধারণ মানুষ কেবল বিষফল দেখে, বিষবৃক্ষ দেখে না। বিষবৃক্ষের গোড়া না কেটে বিষফলকে গালিগালাজ করে কোন লাভ নেই। আরো বিষফল আসবে, কারণ বিষবৃক্ষ এখনো সুফলা।
বিসিবির কর্তাদের মতোন খাঁটি মানুষ পাওয়া যাবে না, সব যেনো একেবারে সাদামনের মানুষ। সাকিবের বিরুদ্ধে বিসিবির অন্যায্য শাস্তির প্রতিবাদ জানাই এবং তাদের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানাই। সাকিবের যে বক্তব্যের কারণে বিসিবি সিদ্ধান্ত নিলেন- তার প্রমাণ কতটুকু? কেউকি এর অডিও লিংক দিতে পারবেন? না। ছেলেটিকে কখনো পা ধরিয়ে সামাজিক মিডিয়ায় তা প্রকাশ করে অপদস্ত করা হয়েছে, আর এবারে তার মাঠের ক্যারিয়ারে হামলা করা হলো। এটি অন্যায়। রাজনৈতিক বিবেচনার বোর্ডের অবসান চাই।
৬ মাস আমরাও বরং ক্রিকেট না খেলি। এই বছর ৬৭/৮ থেকে , ১০৫ এ অলআউট হয়ে অন্যরা ম্যাচ জিতছে। ৩২৫ কইরাও পাকিস্তানের সাথে হারছি। ২০ দিনের ব্যবধানে আফগানিস্তান আর হংকং এর কাছে হারছি। পুরা ক্রিকেটদলটাকেই ৬ মাস থামায় দেওয়া দরকার ছিল।
সাকিবের দোষ-টোষ থাকতে পারে মানুষ তো, তবে বিসিবি আর অনলাইন মিডিয়াকেও বিশ্বাস করার কিছু নাই। বিপিএল এ যে দেশি-বিদেশি প্লেয়াররা টাকা পাইলনা, বাইরের দেশের মিডিয়া আমাদের মুখে চুনকালি মাখাইল তখন বিসিবি কি করছে? রিচার্ড পাইবাসকে এনে ৬ মাসেও তারা চুক্তি করতে পারেনা। আর বাকি প্লেয়ারগুলাকে বাইরের দেশের টি-টুয়েন্টি দলগুলা ডাকে না কেন?
কোন কিছু নিয়েই বাড়াবাড়ি ভাল না।
সাকিব এর আচরণের জন্য যে শাস্তি পেয়েছে সেটা কে সমর্থন জানালাম। কিন্তু সেইসাথে বোর্ডকে ভেঙ্গে সাজানোর দাবী জানাচ্ছি। আমার মনে হচ্ছে বোর্ড এর সদস্যদের মধ্যে সমন্বয়ের মারাত্মক অভাব রয়েছে। খেলোয়াড়দের উপর নিয়ন্ত্রণ নেই, একটার পর একটা বাজে ফল করছে সিরিজে, ঘরোয়া ক্রিকেট এর হ য ব র ল অবস্থা, বোর্ড এর সদস্যরা একেক জন একেক ভাবে কথা বলে।
সব মিলিয়ে সত্যি এগুলো সরকারের ভেবে দেখা উচিত।
সাব্বাস বিসিবি – শাস্তির পরিমাণ কম হয়ে গেলোনা – আজীবন নিষিদ্ধ করলেই ভালো হতো !!! সুয়েরাজ এর পক্ষ নিয়ে সে দেশের প্রেসিডেন্ট আইসিসির বিপক্ষে কথা বলে, কোচ ফিফার গভারনিং বডি থেকে পদত্যাগ করে, আর আমরা প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে আগামী ১.৫ বছর বিদেশে খেলতে অনুমতি দিবনা হায় রে বিসিবি, ____________ তারপর বলবে ৬ মাস সাকিব খেলে নাই তাই দলে নাই, এখন আর ঠিকমত খেলতেও পারেনা বাদ বাদ বাদ ___ বাঙ্গালীকে অন্য কেউ পাহারা দিতে হয় না , তারা নিজেরাই নিজদের পাহারা দিতে পারে আর একেবারে গর্তে নামিয়ে দিতে পারে __________
সব ধরনের ক্রিকেট থেকে ৬ মাসের জন্য নিষিদ্ধ হলো সাকিব। দেড় বছর আইপিএল সহ বিদেশী লীগ খেলতে পারবে না। এইটা একটু বেশি হয়ে গেলো। তা, বিসিবির বিচার করবে কে!
What BCB did to probe into dismal performance of Bangladesh Cricket team over the last few months? Why Australian Coach and Coaching Staff left early before completing their assignment ? Why the malfunctioning of Cricket Operation Committee , infighting of BCB directors are allowed to vitiate cricket arena? Why a panel of Cricket officials withdrew from last BCB election? Why Sakib’s behavior during a recent International match was not penalized in time? Is it a fall out from the last incident ? Who will account for financial indiscipline of BCB?
বাঙ্গালী জাতটাই শালার চুতিয়া। নিজেদের কেউ ভালো থাকলে অরে যেমনেই হোক নিচে নামাবে। Shakib Al Hasan ৬ মাসের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ। ভালোই। সাকিব এর বালের লস ও হবে না। লস হবে দেশের ক্রিকেট এর।
এক জন মাত্র বিদেশি সব লীগে খেলতে পারে, বাংলাদেশের পতাকা উড়াতে পারে, সে হলো সাকিব আর সাকিব দেড় বছর বিদেশি লীগে খেলতে পারবে না বিসিবির এ সিদ্ধান্ত, বিসিবি পাগল হয়ে গেছে, আর একজনকে তৈরী করেন যে সব বিদেশি লীগে খেলতে পারবে? কত খুন, কত চুরি, কত ব্যাংকের টাকা চুরি ঐ সব কিছু করতে পারে না ……………..সব জুতচুর ভাল কিছু তৈরী করতে পারেনা পারে শুধু নষ্ট করতে, বিসিবি কাকে খুশি করতে এমন সিদ্ধান্ত নিছে তা শুধু তারা জানে।
বাংলাদেশের সকল ক্রিকেট অনুরাগীদের পক্ষ থেকে পাপনকে ক্রিকেট সংশ্লিষ্টতা থেকে আজীবন নিষিদ্ধ করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
আচ্ছা সাকিবকে ৮ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করলে কি হতো????
তাহলেতো পরবর্তিতে তাকে বাদ দেওয়ার জন্য নাটক করতে হতো না !!!!!!!
–আর যাই হোক বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার হওয়ার শাস্তি এতো কম হওয়া উচিত নয়……
যখন বাংলাদেশ নামক দেশ বলে অধিকাংশ দেশ চিনতোনা.. তখন আমাদের ক্রিকেটই আমাদেরকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। আজ যখন বাংলাদেশ টিম একটু উন্নতির পথে তখন আশরাফুলকে fixing এর ফাঁদে ফালানো হল। আর আরেক ক্রিকেটার যে বাংলাদেশ টিমের প্রাণকেন্দ্র তাকে নানা কলা-কৌশলে ক্রিকেট থেকে বহিষ্কারের জন্য চেষ্টা চালা্নো হচ্ছে.. সেই শ্রীলঙ্কা সফর থেকে শুরু করে তাকে নানান ভাবে খেলা থেকে বাদ করার জন্য বিসিবি রুপে কয়েকটা শয়তান চেষ্টা চালাচ্ছে। এবারের বিসিবি নামক শয়তানগুলো আসার পর এত অবনতি আর কখনো হয়নাই। তোরা শয়তান। তোরা আমাদের ক্রিকেটকে ধ্বংস করবি।
বিসিবির উদ্দেশ্যে বলছি, তোমার ভাবের চেয়ে ভঙ্গি বেশি| এই জন্যই বাংলাদেশের ক্রিকেটের এই অবস্থা| কেউ যখন উপরে ওঠে, আমরা সবাই তাকে নিচে নামাই।
ছয় মাস খেলার বাইরে মানে, তার খেলার অনেক পরিবর্তন আসবে। আর তা যদি নেতিবাচক হয়, তার দায় বিসিবি এড়াতে পারবে না। শাস্তিটা অর্থদন্ড অথবা দেশের বাইরের টুর্নামেন্টের ক্ষেত্রে হলে যথেষ্ট হত। একটা কথা মনে রাখা উচিত, ধোয়া কাপড় যতই চিপবেন ততই পানি পড়বে, কিন্তু কাপড়ের বারটা বেজে যাবে।
সত্যি বলতে কি সাকিব খেলে বলেই IPL দেখি। সাকিব যখন IPL এ উইকেট নেয় তখন মনে হয় বাংলাদেশের হয়ে উইকেট নেয়। সাকিব যখন 31 বলে 60 রান করে, 21 বলে 46 রান করে তখন মনে হয় বাংলাদেশের হয়ে মাঠ কাঁপায়। সাকিব যখন উইকেটের জন্য আবেদন করে তখন মনে হয় বাংলাদেশের ষোল কোটি প্রাণ আবেদন করে। একমাত্র সাকিব এর জন্য মাথা উঁচুকরে বলতে পারি আমি বাংলাদেশী। সাকিব বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার, কিন্তু আমি গর্ব করে বলি সাকিব এর জন্য আমরা ষোল কোটি প্রাণ বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। বিশ্বাসকর সাকিব তোমার নামে কোন অপবাদ সহ্য করতে পারনা, মাথায় রক্ত উঠে যায়। তোমার সাথে সুসময়ে দুঃসময়ে সবসময় আছি। তবে সত্যি কথা তোমাকে দেখলে হিংসা হয়, কেন আমি তুমি হলাম না। সবাই বলে আমি তোমাকে ভালবাসি সাকিব, কিন্তুু আমি বলি, আমি তোমাকে ভালবেসেছি, ভালবাসছি, ভালবাসবো। অনেকদিন বেঁচে থাকো আর এক একটি মিরাকল সৃষ্টি করো। অপ্রত্যাশিত কিছু করো যা কেউ করেনি আগে।
রাষ্ট্রপতির ছেলে কোটায় বিসিবির সভাপতি হওয়া পাপনের সবচেয়ে বড় প্রশাসনিক যোগ্যতা তিনি বেক্সিমকো ফার্মাসিটিউক্যালস এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ছিলেন।
: তো, বেক্সিমকো ফার্মার এমডির সাথে ক্রিকেটের সম্পর্ক কী?
: সম্পর্ক হচ্ছে কর্পোরেট ক্রিকেট লীগে বেক্সিমকোর একটা টীম আছে।
: আর কী যোগ্যতা আছে?
: বেক্সিমকো বিভিন্ন সময়ে ক্রিকেট খেলায় স্পন্সর করেছে।
: কিন্তু এটাতো আসলে বিসিবি সভাপতি হওয়ার জন্য যথেষ্ট না।
: আরে মিয়া তিনি ২০০৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত আবাহনী’র ক্রিকেট কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
: মির্জা ফখরুলের মত ভারপ্রাপ্ত?
: আহা! এরকম করো ক্যান? এছাড়াও, ২০০৬ সালের কর্পোরেট ক্রিকেট লীগের চ্যাম্পিয়ন বেক্সিমকো ক্রিকেট দলের সভাপতি ছিলেন।
: আরিব্বাস! ব্যাপকতো।
: আরো আছে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ টি২০-এর উদ্বোধনী আসরে উপদেষ্টা কমিটির সভাপতিত্ব করেছিলেন।
: ওম্মাইগড! এত যোগ্যতা নিয়েতো এই লোক আইসিসির সভাপতি হওয়ার যোগ্যতা রাখেন।
: তার মানে নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, পাপন ক্রিকেট প্রশাসন বিষয়ে যথেষ্ট অভিজ্ঞ?
: অবশ্যই বলা যায়। ক্রিকেট পাপনের শিরায় উপশিরায় রক্তের প্রতিটি কণায় ঝুলে আছে।
সাকিবকে ছয় মাসের জন্য নিষিদ্ধের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। বিসিবি আসলে কি চায়? তারা কি চাইছে সাকিব ক্ষুব্ধ হয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দিক; নয়তো তাদের পা ধরে ফিরে আসুক! একটা কথা সবার মনে রাখা দরকার, বাংলাদেশে হাজার হাজার বেয়াদব আছে, শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী আছে লাখ লাখ। কিন্তু সাকিব আছে একটাই। কাজেই শাস্তি দিতে গিয়ে আমরা যেন তার ক্যারিয়ারই ধ্বংস না করে দেই। কারণ তাতে সাকিবের চেয়ে বেশি ক্ষতি বাংলাদেশের ক্রিকেটের।
বিসিবির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চাইছি। সারা বিশ্ব যেখানে সাকিবের মতো খেলোয়াড়কে আগলে রাখে সেখানে সাকিবকে ছয় মাসের জন্য নিষিদ্ধ কোনভাবেই মানা যায় না। এটা বাংলাদেশের ক্রিকেট ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র। সাকিবের মতো অতি মেধাবীরা একটু পাগলাটে হয়। তাদের যত্ন দিয়ে রাখতে হয়। ক্লাসের সবচেয়ে মেধাবী কিংবা স্কুলের সবচেয়ে মেধাবী ছেলেটা একটু দুষ্টই হয়। কিন্তু তাকে যদি আমরা এসএসসি পরীক্ষা দিতে না দেই বা স্কুল থেকে বহিষ্কার করে দেই তাহলে স্কুলের সম্মান বাড়াবে কে? আর দুষ্টামির কারণে মেধাবীদের বহিষ্কার করা হলে আজকে অনেকেরই বুয়েট-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে দেশের জন্য কিছু করা হতো না। আর সাকিবের বড় অপরাধটা কোথায়? স্ত্রীকে বখাটেরা কটুক্তি করবে আর সে চুপ করে থাকবে? নাকি তার অপরাধ সে বিসিবিকে পাত্তা দেয় না?
সাকিব যখন দেশে ফিরেছে, ক্ষমা চেয়েছে তখুনি সব শেষ হয়ে যাওয়া উচিত ছিলো। শাস্তি যা ঘোষণার হয়ে গেছে। বিসিবির উচিত এখুনি সেটা প্রত্যাহার করে নেওয়া। তাকে সতর্ক করুন, বারবার। কিন্তু বহিষ্কার নয়। কারণ একমাত্র সাকিবরাই পেরেছে ১৬ কোটি বাঙ্গালিকে এক করতে। সাকিবের নিষিদ্ধের আদেশ প্রত্যাহার না করলে বিসিবি মানুষের আস্থা হারাবে, ধ্বংস হবে ক্রিকেট। কাজেই বিসিবি পুনর্বিবেচনা করুন। আর সেটা না করতে পারলে আমি রাজনৈতিক এই বিসিবির প্রতি আমার অনাস্থা জানিয়ে দিলাম।
দেশপ্রেম কিনবে দেশপ্রেম ?!?!?!?
——————————————-
সাকিব যদি সত্যি সত্যি বলে থাকে সে আর দেশের হয়ে টেস্ট – ওয়ানডে খেলবে না, তারপরেও আমি তার হয়ে কথা বলবো । একারণেই বলবো একজন মানুষ রাতারাতি দেশদ্রোহী হতে পারে না । আপনি যদি আমাকে সত্যিকারের বন্ধু মনে করেন তাহলে আমার মানবিক দূর্বলতা মেনে নিয়ে আমার সাথে সম্পর্ক বজায় রাখবেন । আমাকে ভর্তসনা করবেন কিন্তু আমাকে ছেড়ে যাবেন না ।
সাকিবের অনেক দোষ – সে দর্শকদের সাথে বাজে আচরণ করে, ডিসিপ্লিন মানে না, একগুয়ে, অহংকারী ব্লা ব্লা ব্লা … মানলাম সে এরকমই । পাশাপাশি এই কথাটাও ভুলে যাবেন না,কিছু মানুষের জন্মই হয়েছে নিয়ম না মানার জন্য । এদেরকে সাধারণ মানুষের মতো ট্রিট করে সিদ্ধান্ত নেওয়াটা চরম বোকামি । এরা বিরল, এরা ব্যতিক্রম তাই এরা সাধারণ মানুষের মতো হয়েও সাধারণ মানুষ থেকে আলাদা । তারা যে আলাদা তা তাদের কীর্তির দিকে তাকালে বুঝতে পারি আমরা । ছোটবেলায় মা- ভাইদের কাছে বকুনি শুনতে হয়েছে আমি অমুকের মতো শান্ত হয়ে থাকি না কেন, তমুকের মতো পড়াশোনায় আরো মনযোগী হই না কেন। অমুকের পড়ার শব্দ আধা মাইল দূর থেকে শোনা যায়, আমার যায় না কেন ইত্যাদি। তারা আমার ভালোর জন্যই এসব বলতো তাতে কোন সন্দেহ নেই কিন্তু তারা একটা জিনিস বুঝতে চাইতো না, চিৎকার, চেঁচামেচি না করেও পরীক্ষায় ভাল ফল করা যায়।
আমরা যেন তুলনা করার ক্ষেত্রে সতর্ক হই। মানুষ হিসেবে আমরা প্রত্যেকেই স্বতন্ত্র, আমাদের প্রত্যেকের নিজেদের একটা জগত আছে । এবং আমরা সবাই বৈচিত্র্য ধারণ করে সুন্দর হয়ে আছি। একটা বাগানে অনেক বর্ণের ফুল ফোটে বলেই বাগানটিকে এত সুন্দর লাগে। শুধুমাত্র সুন্দর গোলাপ দিয়ে বা হাসনাহেনা দিয়ে বাগান পরিপূর্ণ থাকলে অতো ভাল লাগতো না কিন্তু। বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের প্রত্যেক সদস্য আলাদা আলাদা পরিবার, পরিবেশ, ভিন্ন ভিন্ন বোধ, বিশ্বাস, আচার, প্রথা থেকে এসেছে। এরা প্রধানত একহয়ে থাকার অনুপ্রেরণা পায় যারা দেশের হয়ে খেলছে । দেশপ্রেম তাদের সবথেকে আবেগের জায়গা । লক্ষ্য করে দেখেছেন নিশ্চয়ই চলমান ফুটবল বিশ্বকাপে জাতীয় সংগীতের সময় খেলোয়াড়দের চোখ ছলছল হয়ে পড়ছে, অনেকে কেঁদে ফেলছেন ! – কেন ?
এটা কি দেশের প্রতি ভালবাসার সুন্দর প্রকাশ নয় ? দেশপ্রেম চোখের জল দিয়ে পরিমাপ করা যায়না বটে কিন্তু দেশপ্রেম দ্বারা উদ্বুদ্ধ না হয়ে কেবলমাত্র টাকার জন্য কেউ খেলে থাকে এটা আমি বিশ্বাস করি ন। সুতরাং কারো দেশপ্রেম ধরে টান দেওয়ার আগে নিজের দিকে একবার তাকানো উচিৎ । দেশের স্বার্থের কথা বিবেচনা না করে কারা ক্রিকেটের মোড়লদের পা চেটে দিতে তৎপর হয়ে ওঠেন, কারা ক্রিকেটারদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা না করে জঙ্গি অধ্যুষিত রক্তাক্ত পাকিস্তানে খেলতে পাঠাতে চান, কারা টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে ভারতের কদর্য নৃত্য – গীতের জলসা বানিয়ে দেশের প্রতিষ্ঠিত শিল্পীদের এবং দেশীয় ইতিহাস, ঐতিহ্যকে অপমানিত, অপদস্ত করান, কারা ক্রিকেটকে নিছক টাকা বানানোর মেশিন বানিয়ে রেখেছেন তা নিশ্চয়ই আমরা ভুলে যেতে পারিনা।
প্লিজ, সাইদী – নিজামীদের মতো দেশদ্রোহী, রাজাকারের কাতারের আমাদের ক্রিকেটারদের ফেলবেন না । দেশের সেরা ক্রিকেটারটিকে ধংস করার পাপন -লোটাসদের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে । কারণ, বিসিবির সভাপতির মতো একটা দায়িত্বশীল পদে থেকে এই সেদিন নিয়োগপ্রাপ্ত কোচ হাতুরাসিং এর কথার উপর ভিত্তি করে যিনি সাকিবের দেশপ্রেম নিয়ে কথা বলেন, উল্টো তার দেশপ্রেম নিয়ে আমার মনে যৌক্তিক সন্দেহ দেখা দেয় । সাকিবকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে মিডিয়ার সামনে এ জাতীয় কথাবার্তা বলে তিনি নিজের গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছেন । আমি নাজমুল হাসান পাপনের পদত্যাগ দাবি করছি।
Rezaul Karim Rony
আওয়ামী গুন্ডারা বাংলাদেশ ক্রিকেটকে ধ্বংস করবে অার আমরা সবাই মজা দেখব…?
এই বিসিবিটাই চরম দূর্নীতির আখড়া। লীগের মূর্খ-দালাল গুন্ডাপান্ডা দিয়ে এটা ইচ্ছা মতো চালান হচ্ছে। ভাল কোন খেলোয়ার কোন ভাবেই যেন দাঁড়াতে না পারে তার সব রকম চেষ্টা এরা করে চলেছে। ওদের চেতনার চামচা আর ভাই-ভাতিজারা দিনের পর দিন না বছরের পর বছর, ডাংগুলি খেলেও দলে টিকে আছে। ভাল খেলোয়াড়দের নানা ভাবে নষ্ট করার জন্য এরা খুব সংগঠিত ভাবে তৎপর আছে।
এই বিসিবি ভারতীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য আত্মঘাতি কোচ চন্দ্রিকাকে নিয়োগ দিয়েছে। এই চদ্রিকা কৈটিল্যর মতো কূটবুদ্ধি চেলে সাকিবকে ভিলেন বানানোর কাজে বিসিবিকে হেল্প করেছে। সাকিব অনুমতি ছাড়া যাননি।
তিনি আকরামকে ফোন করেছেন, আকরাম বলেছে তুমি চলে যাও। চন্দ্রিকা কূট চাল করে পাপনকে জানাইছে এই পুলাতো বেয়াদব! কাউরে কিছু না বলে চলে গেছে। এই দেখেন কাগজে সাইন নাই। আকরাম তখনও সাইন করেন নাই। চন্দ্রিকাকে অর্ধচন্দ্র দিয়া বের করে দেওয়া দরকার। এইটা একটা কুলাঙ্গার। এই হারামির বাচ্চা বাংলাদেশের শত্রু।
সাকিব জানালেন,
“আকরাম বললেন, সাব্বিরকে দিয়ে তুমি চলে যাও, আমি এসে সাইন করবো। এটা শুনে আমি চলে যাই। হ্যাঁ, লিখিত নিয়ে গেলে হয়তো আরও বেশি ভালো হতো। আমি কখনো চিন্তাই করিনি এটা এ পর্যায়ে আসবে।”
হ্যাঁ এটা সাকিবকে বুঝতে হলে আবার জন্ম নিতে হবে। লীগের কুকুরগুলা বাংলাদেশর এ টিমের আত্মমর্যাদাকে ঘরে বাইরে বলি দিচ্ছে। এই কুকুররা ইন্ডিয়ার বি টিমের সাথে জাতীয় দলকে খেলতে বাধ্য করে। এবং এইসব খেলায় সবচেয়ে বাজে পারফর্ম করা আত্মীয়দের কে খেলার সুযোগ দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের কাছে ক্রিকেট দলকে ব্যাপক অযোগ্য প্রমাণিত করেছে। পাবলিকের চরম বিরক্তি উৎপাদন করে এখন অনায়াসে নীতি নৈতিকতার ধোঁয়া তুলে সাকিবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল।
বিসিবির তো নীতি নৈতিকতার কথা বলারই কোন রাইট নাই। চোরের মার বড় গলা। নারী কেলেঙ্কারি থেকে শুরু হরে হেন কোন অপকর্ম নাই যার সাথে এখনকার বিসিবির গুন্ডারা জড়িত নাই। সাকিব যেভাবে খেলতে গিয়েছেন এটা অতি মামুলি ব্যাপার। এটাকে নিয়ম ভঙ্গ আকারে হাজির করে বিসিবি নিয়মতান্ত্রিক ভাবে সন্ত্রাস করল। হাসিনা যেমন সাংবিধানিক ভাবে গণহত্যা করেছে। তার সোনার ছেলেরা একইভাবে বাংলাদেশ ক্রিকেটকে মাটির সাথে মিশিয়ে দিচ্ছে।
সাকিব অতি সরলভাবে আকরামের মুখের কথার উপর ভর করে চলে গেছেন। এটা কোন ভাবেই নিয়ম ভঙ্গ পর্যায়ে যেতে পারেনা। এটা যে ক্রিকেটে নতুন তা না। অনেকেই এটা করেন। ফোনে অনুমতি নিয়ে নেন। বা কাগজপত্র পরে সাইন করেন। একটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপারকে সুযোগ আকারে ব্যবহার করে সাকিবের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস করাটাকে কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যাবেনা। লীগের পাপন-ফাপনকে বাংলাদেশ ক্রিকেট ধ্বংস করার রাইট আমরা দিতে পারিনা।
সাকিব কোনভাবেই নিয়ম ভঙ্গ করে নাই। গায়ের জোরে ৬ মাসের শাস্তি দিয়ে সাকিবকে শিক্ষার নামে তাকে ক্রিকেট থেকে অকার্যকর করে দিয়ে তাদের আত্মীয়দের দিয়ে একটা গাধার টিম, তৈরি করার চক্রান্ত চলছে। সব গাধা নিয়ে খেললে তো আর সিংহের পারফর্ম কেউ আশা করবে না।
এরা সব কিছুকে নিজেদের সম্পত্তি মনে করে। নিয়মের কথা বলে সবচেয়ে বড় সন্ত্রাস করে এরা। এরা চেতনার নামে, সংবিধানের নামে, নিয়ম-নীতির নামে সন্ত্রাস করছে। বাংলাদেশ জেগে ওঠো….রুখে দাও এই সন্ত্রাসী রাজত্ব। সোচ্চার হোন।
সাকিব এর ৬ মাস নিষেধাজ্ঞা এবং দেড় বছরের বিদেশে খেলার জন্য ব্যান।
একজন বাংলাদেশী হিসেবে আমি লজ্জিত, সাকিব।
এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত; কারো ভিন্নমত থাকলে অন্য কোথাও গিয়া মহান সাজবেন এই পোস্টে না। ছেলেটা ক্ষমা চেয়েও এতদিনের জন্য ব্যান হল!! আমি চাইবো না আর কোন সাকিব আল হাসান বাংলার মাটিতে জনন্ম নিক। চাইবো, আশ্রাফুল,মুশিক, তামীমরাই জন্ম নিক সাথে ওদের প্রভাবশালী চাচা, মামা, খালুরাও