সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে এবার বিতর্ক দেখা দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় দলের নিযুক্ত শ্রীলংকান কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহে কে নিয়ে।
গতকাল সাকিব আল হাসানের ছয়মাসের নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা এই শ্রীলংকান নাগরিকের জাতীয় দলকে কোচিং দেবার মতো যোগ্যতা আছে কিনা প্রশ্ন উঠেছে সেটা নিয়েও। বিভিন্ন ওয়েবসাইটের তথ্য ঘেটে দেখা গেছে চান্দিকা হাতুড়ি সিংহা এর আগে কোন টেস্ট খেলুড়ে দেশের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেননি!
গত ১৪মে বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচ হিসেবে নিযুক্ত পাবার আগ পর্যন্ত তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া লীগে কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০০৪-২০০৫ সাল থেকে কোচিং শুরু করার পর , তাঁর গোটা কোচিং ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ অর্জন হচ্ছে শ্রীলংকান জাতীয় দলের সিনিয়র এসিস্ট্যান্ট কোচিং স্ট্যাফ হিসেবে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা। কিন্তু সেই দায়িত্ব থেকে চরম দায়িত্ব জ্ঞানহীনতা এবং শৃংখলা বহির্ভূত কর্মকান্ডে ভূমিকা রাখার অভিযোগ এনে বহিষ্কার করা হয় তাকে। অভিযোগ এতোটাই গুরুতর ছিলো সে সময়ের ক্যাপ্টেন কুমারা সাঙ্গাকারার ব্যাক্তিগত সুপারিশকেও আমলে নেয় নি শ্রীলংকান ক্রিকেট বোর্ড!
এই স্পর্শকাতর বিষয় গুলো সামনে চলে আসার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে এমন একজন বিতর্কিত ব্যাক্তির অভিযোগের উপর ভিত্তি করে সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে এমন কঠোর অবস্থান নেবার বিষয়টি আলোচিত হচ্ছে।
একই সাথে প্রশ্ন উঠেছে কোচ সিলেকশনের ক্ষেত্রে বিসিবির এধরণের দায়সারা আচরণ নিয়েও। সাধারণ ক্রিকেট ভক্তদের ভার্চুয়াল আক্রমণ থেকে রেহাই পাচ্ছেন না বোর্ড প্রেসিডেন্ট পাপনও।
প্রশ্ন উঠেছে এমন একজন বিতর্কিত এবং অনভিজ্ঞ ব্যাক্তি একটি টেস্ট খেলুড়ে দেশের কোচ হিসেবে আসলেই যোগ্য কিনা! বিপুল অর্থ ব্যয়ে এধরনের অযোগ্য কোচ নিযুক্তিতে কার স্বার্থ জড়িত তা খতিয়ে দেখা দরকার বলে ক্রিড়া বিশেষজ্ঞর মনে করেন।