বাণিজ্যিকভাবে আম চাষ শুরু হওয়ায় দিনাজপুরের ব্যবসায়ীরা অধিক লাভের আশায় আমের ফলন বৃদ্ধিতে বাগানেই ব্যবহার করছেন বিভিন্ন কীটনাশক, ফরমালিনসহ প্রাণঘাতী নানান বিষাক্ত পদার্থ।
আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় দিনাজপুরে চলতি মৌসুমে আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। ধানের জেলা দিনাজপুরে বাণিজ্যিকভাবে আম চাষ হচ্ছে। এ বছর জেলায় ২ হাজার ১৯৬ হেক্টর বাগান ও ৯শ ৪৪ হেক্টর বসতবাড়ী মিলে মোট ৩ হাজার ৩ হাজার ১৪০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে।
দিনাজপুরে প্রায় ২০/২৫ প্রজাতির আমচাষ হয়। এর মধ্যে ফজলি, গোপালভোগ, মিশ্রিভোগ, সূর্যাপুরী, ল্যাংড়া, আম্রপালি, আশ্বিনা, কালাপাহাড়ী, গুটি, মিষ্টিমধু, মধুচুষি, খিরশাপাতি উল্লেখযোগ্য। সদর, বিরল, কাহারোল , চিরিরবন্দর, বোচাগঞ্জ, বীরগঞ্জ,পার্বতীপুর এলাকার বাগানগুলোতে এবার আম হয়েছে বেশি।
তবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত আম বাগানে অভিযান চালিয়ে এর গোমড় ফাঁস হয়ে পড়েছে। বাগান মালিকরা বাগানে অন্যান্য ওষুধের চেয়ে পোকামাকড় দমনে বিষাক্ত কীটনাশক বেশি করে প্রয়োগ করে থাকেন।
বাজারে এসব সুন্দর আম দেখে ক্রেতারা আকৃষ্ট হয়ে কিনছেন। কিন্তু আমে কী আছে তারা জানছেন না। ফল দোকানগুলোতে ফরমালিন ও বিষাক্ত পদার্থ মিশ্রিত মেশানো সুন্দর চেহারার আম জায়গা দখল করে নিয়েছে। তবে আমে ফরমালিন কিংবা বিষাক্ত পদার্থ মিশ্রিত আছে কী-না তা বলতে নারাজ ব্যবসায়ীরা।
এসব ফরমালিনযুক্ত বা বিষাক্ত পদার্থ মিশ্রিত আম খেয়ে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছে জনজীবন। মানব দেহে নানান জটিল রোগ সৃষ্টিসহ মৃত্যুর মুখে ঝুঁকে পড়ছে মানুষ। এমনটাই জানালেন দিনাজপুর জেলার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. মারতুরা বেগম।
ফরমালিন মেশানোর বা বিষাক্ত পদার্থ মিশ্রিত আম বাজারজাতকরণে প্রতিরোধ গড়তে কঠোর হস্তক্ষেপ দেয়ার কথা জানিয়েছেন দিনাজপুর জেলা প্রশাসক আহমদ শামীম আল রাজী।
শুধু লোক দেখানো ভেজাল বিরোধী অভিযান নয়, এসব অসাধু ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসন কঠোর হস্তক্ষেপ নিবেন-এমনটাই প্রত্যাশা সাধারণ মানুষের