বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সরকারের উদ্দেশে বলেছেন, ‘এখনও সময় আছে; আলোচনা করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। নইলে অনেক বড় শাস্তি ও কঠিন প্রায়শ্চিত্ত আপনাদের হবে। তাই সময় থাকতে সাবধান হোন।’
তিনি আরও বলেছেন, ঈদের পর আমরা আন্দোলনের কর্মসূচি শুরু করব। ঐক্যবদ্ধ হয়ে সবাই এই সরকারের সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলব।
মঙ্গলবার ইস্কাটন গার্ডেনে লেডিস ক্লাবে ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির ইফতার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বেগম খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন।
ইফতারপূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে খালেদা জিয়া অভিযোগ করে বলেন, ‘দেশে আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। যতই দিন যাচ্ছে, দেশে গুম-খুন ও অত্যাচার বাড়ছে। আগে রাজনীতিবিদরা গুম হতেন। এখন ব্যবসায়ীসহ সাংবাদিকরাও বাদ যাচ্ছেন না।’
র্যাব জনগণের নিরাপত্তা বিধানে সম্পূর্ন ব্যর্থ হয়েছে উল্লেখ করে আবারও এই সংস্থাটির বিলুপ্তির দাবি জানান বেগম খালেদা জিয়া।
ঈদের পর আন্দোলনে সব দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ২০ দলীয় জোট নেত্রী বলেন, ‘সাম্যবাদী দল যোগ দিয়েছে। আরও অনেকে যোগাযোগ করেছে এই জোটে যোগ দিতে। ছোট-বড়, বাম-ডান না দেখে এখন সব দলকে একই কাতারে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সরকারের সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য আমি আহ্বান জানাচ্ছি।’
ইফতারের আগে খালেদা জিয়া অনুষ্ঠানে বিভিন্ন টেবিলে গিয়ে শরিক দলের নেতাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। পরে বাংলাদেশসহ মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। খালেদা জিয়ার সঙ্গে এক টেবিলে ছিলেন এলডিপির অলি আহমেদ, রেদোয়ান আহমেদ, সাহাদাত হোসেন সেলিম, জামায়াতে ইসলামীর আবদুল হালিম, ইসলামী ঐক্যজোটের আবদুল লতিফ নেজামী, খেলাফত মজলিশের অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইসহাক, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাগপার শফিউল আলম প্রধান, খোন্দকার লুত্ফর রহমান, আসাদুর রহমান খান, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির সালাহউদ্দিন মতিন প্রকাশ, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির মুস্তাফিজুর রহমান ইরান, হামদুল্লাহ আল মেহেদি, খেলাফত মজলিসের অধ্যাপক আহমেদ আবদুল কাদের, এনডিপির খন্দকার গোলাম মূর্তজা, আলমগীর মজুমদার, ইসলামিক পার্টির আবদুল মোবিন, ন্যাপের জেবেল রহমান গানি, গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, পিপলস লীগের সৈয়দ মাহবুব হোসেন, মুসলিম লীগের এএইচএম কামরুজ্জামান, ন্যাপ ভাসানী আজহারুল ইসলাম, জমিয়তে উলামা ইসলামের মাওলানা মহিউদ্দিন ইকরাম, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, জামায়াতের ডা. রিদওয়ান উল্লাহ শাহিদী, কল্যাণ পার্টির এমএম আমিনুর রহমান, ডেমোক্রেটিক লীগের সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, এলডিপির মামদুদুর রহমান চৌধুরী, আবদুল করীম আব্বাসী, প্রকৌশলী কামাল উদ্দিন মুস্তফা, খালেদ সাইফুল্লাহ প্রমুখ নেতা অনুষ্ঠানে ছিলেন।
বিএনপির নেতাদের মধ্যে ছিলেন ড. আর এ গনি, তরিকুল ইসলাম, এম কে আনোয়ার, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আবদুল হালিম, বরকতউল্লাহ বুলু, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান, হারুনুর রশীদ, ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, শিরিন সুলতানা, রফিক শিকদার প্রমুখ।