ওমান থেকে বহিষ্কৃত শতাধিক বাংলাদেশি শ্রমিক দেশে ফিরেছেন। শুক্রবার সকালে তারা হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে তাদের ফেরানো হলো।
ফেরত আসা কয়েকজন শ্রমিক দাবি করেছেন, কোনো আইনগত কারণ ছাড়াই তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে। কিশোরগঞ্জের অধিবাসী সোহরাব হাসান বলেন, ‘আমি বৈধভাবেই কাজ করছিলাম। কফিল বা নিয়োগদাতা টাকা দিতে অস্বীকার করায় আমাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘২০১২ সালে ড্রাইভিং ভিসায় ওমান গিয়েছিলাম। কিন্তু কফিল আমাকে ড্রাইভিংয়ের পরিবর্তে কনস্ট্রাকশনের কাজে নিয়োগ করে। কফিলকে প্রতি মাসে ২০ ওমানি রিয়াল দিতে হতো। কিন্তু তার দাবি ক্রমশ বাড়তে থাকে।’
একই ধরনের অভিযোগ করেছেন আরেক শ্রমিক মো. ইলিয়াস। তিনি বলেন, ‘কোম্পানির মালিক আমাকে নিয়মিত বেতন দিতে অস্বীকৃতি জানায়। আমি যখন বেতন দাবি করতাম আমাকে মারা হতো।’
খলিলুর রহমান নামে আরেকজন জানিয়েছেন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় তিন মাস আগে ওমানের পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। তিন মাস সাজা ভোগের পর তাকে মুক্তি দেয়া হয় এবং বহিষ্কার করা হয়।
ফেরত আসা শ্রমিকদের অভিযোগ, ওমানে বাংলাদেশ দূতাবাস তাদের কোনো ধরনের সহযোগিতা করেনি।