সাকিব আল হাসানের স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশিরকে উত্যক্ত করার মামলায় আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে পুলিশ। মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তার তৈরী করা চার্জশীট হাতে পেয়েছে ‘দৈনিক প্রথম বাংলাদেশ। চার্জশীটে উল্লেখ আছে-
‘এজাহারের সংক্ষিপ্ত বিবরণ এই যে, ১৫/০৬/২০১৪ তারিখ ১৯.০০ ঘটিকা হইতে ২০.০০ ঘটিকা পর্যন্ত বাদীর স্ত্রী উম্মে রোমান আহমেদ শেরে-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ৩ নং বক্সে বাংলাদেশ বনাম ভারতের খেলা দেখা কালীন সময় গ্যালারীর সামনে বসা আসামী রাহিদ রহমান খান’সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫জন বাদীর স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে বিভিন্ন অশোভন অঙ্গভঙ্গি ও কথাবার্তার মাধ্যমে বারবার উত্যক্ত করে। এরপর বাদীর স্ত্রী প্রতিবাদ করলে উক্ত আসামীরা অসৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে বাদীর স্ত্রীকে ধাক্কা দেয়’।
মামলার এই এজহারের ভিত্তিতে মামলার তদন্ত ভার গ্রহণ করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ রাসেল।তিনি মিরপুর মডেল থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক।
তদন্তের বিষয়ে ওই চার্জশীটে বলা হয়, ‘বাদী ও সাক্ষীদের অত্র মামলা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করিয়া, সাক্ষীদের জবানবন্দী গ্রহণ করিয়া ১০ নং ধারা মোতাবেক লিপিবদ্ধ করি। আলামত সংগ্রহের চেষ্টা করি। এজাহারে মামলার আসামী রাহিদ রহমান খানকে গ্রেফতার করিয়া বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করি। আসামীর ঠিকানায় সোর্স প্রেরণ করি। ঘটনার সহিত জড়িত অজ্ঞাতনামা আসামীদের তথ্য সংগ্রহ করিবার চেষ্টা করি। সোর্স নিয়োগ করি। মামলাটি প্রকাশ্যে ও গোপনে তদন্ত করি’।
‘মামলার তদন্তকালে প্রাপ্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ ও ঘটনার পারিপ্বার্শিকতার আলোকে বাদীর আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে এজহারের আসামী (১) রাহিদ রহমান খানসহ (২৪) অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধিত) এর ১০ ধারা অনুযায়ী অপরাধ প্রমাণিত হয়। কিন্তু তদন্তকালে সর্বাত্মক চেষ্টা করিয়াও ঘটনার সহিত জড়িত অজ্ঞাতনামা আসামীদের তথ্য না পাওয়ায় পরবর্তীতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহিত আলাপ ও আলোচনাক্রমে ৩ নং কলামের উল্লেখিত আসামীর বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতে বিচারের আবেদন করিয়া অত্র মামলার অভিযোগ নং-৫০৭, তাং-০৩/ ০৭/ ২০১৪, নারী ও নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত) এর ১০ ধারা অনুযায়ী দাখিল করিলাম। … বাদীকে তদন্তের ফলাফল জানান হইল’।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত) এর ১০ ধারায় অনুসারে, ‘ যদি কোন ব্যক্তি অবৈধভাবে তাহার যৌন কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে তাহার শরীরের যে কোন অঙ্গ বা কোন বস্তু দ্বারা কোন নারী বা শিশুর যৌন অঙ্গ বা অন্য কোন অঙ্গ স্পর্শ করেন বা কোন নারীর শ্লীলতাহানি করেন তাহা হইলে তাহার এই কাজ হইবে যৌন পীড়ন এবং তজ্জন্য উক্ত ব্যক্তি অনধিক দশ বৎসর কিন্তু অন্যুন তিন বৎসর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন৷