ফ্রান্সে ফিলিস্তিনির পক্ষে যে কোনো প্রকার মিছিল বা সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে দেশটির সরকার। ফ্রান্সই প্রথম দেশ যারা এ ধরনের পদক্ষেপ নিলো। খোদ ইসরায়েলের প্রধান মদদ দাতা হিসেবে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্রেও এ ধরনের কোনো আইন নেই।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বার্নার্ড কাজেনেভু জানান, শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গত সপ্তাহে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলে হামলার প্রতিবাদে প্যারিসে বিক্ষোভ মিছিল করে ফরাসিরা। এ সময় তারা ব্যানার ফেস্টুন বহন ছাড়াও স্লোগানের মাধ্যমে গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদ জানাতে থাকে। পুলিশ এসে তাদের থামানোর চেষ্টা করলেই সংঘর্ষ বাধে।
এ সপ্তাহেও ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের অব্যাহত হামলার প্রতিবাদে হাজার হাজার ফরাসির বিক্ষোভ করার কথা ছিল। তবে নতুন এই নিষেধাজ্ঞার কারণে তা আর করা সম্ভব হবে না।দেশটির বিরোধীদলীয় নেতারা সরকারের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছেন। তাদের মতে সরকার, জনগণের সমর্থনকে অপরাধ হিসেবে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছে।
নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করে ফিলিস্তিনের প্রতি সহানুভূতিশীল ফরাসি লেখক সিলভি প্যাটেল বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রগুলোই কেবল যুদ্ধ বিরোধী মিছিলের বিপক্ষে অবস্থান নেয়। কিন্তু এটা বিশ্বাস করা খুব কঠিন যে ফ্রান্সের সমাজতান্ত্রিক সরকার এই রীতি অনুসরণ করছে।’
গত সপ্তাহেও একবার দাবি করা হয়েছিল যে, গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন বিরোধী বিক্ষোভকারীরা ইহুদিদের উপাসনালয় ‘সিনাগগে’ হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে। কিন্তু পরবর্তীতে অভিযোগটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়। উল্টো ইহুদিদের একটি সশস্ত্র সংগঠন জিয়ুশ ডিফেন্স লিগ (এলডিজি) বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা করে। এ ঘটনায় ছয় বিক্ষোভকারীকে আটক করা হলেও এলডিজির কাউকে আটক করা হয়নি। পরে অবশ্য ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলার বিরুদ্ধে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলকে ইহুদি বিরোধী মিথ্যা আখ্যা দেয়ার বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।