বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আসরাফুল ইসলাম বলেছেন, ‘একবার কেন ১০০ বার ঢাকা মহানগর বিএনপির কমিটি পরিবর্তন করলেও আন্দোলন করে এ সরকারের পতন ঘটানো যাবে না।’
তিনি বলেন, ‘আপনি (খালেদা) বস্তুনিষ্ট আলোচনা করুন। সঠিক দিক নির্দেশনা দেন, আমরা আমলে নেবো। তা না করে প্রতিদিনই কাগজের বাঘের হুঙ্কার দিচ্ছেন।’
রোববার সন্ধ্যায় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর যুবলীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যুবলীগের আয়োজনে এক ইফতার ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘সরকার গঠনের মালিক জনগণ, বিএনপি নয়। আপনারা যতই হুঙ্কার দেন, কোনো লাভ হবে না। যদি সরকার গঠন করতে হয় তাহলে আগামী নির্বাচনের মাধ্যমেই জনগণ সরকার নির্বাচিত করবে।’
তিনি বলেন, ‘ইচ্ছা করলেই প্রতিদিন ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে মিথ্যাচার করা যায়। বিএনপি এই কাজটিই করছে।’
এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী। ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, ‘শৈশবে রমজান মাস জুড়ে এবং মাস শেষ হলে ঘরে ঘরে একটি গানের রেকর্ড বাজতো- রমজানের ওই রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ। গানটি নজরুলের, কণ্ঠ আব্বাস উদ্দীনের। তবে এবারের রমজান মাসে বাংলাদেশের মানুষ যে কণ্ঠ শুনছে, সেটি আব্বাস উদ্দীনের নয়, কণ্ঠটি খালেদা জিয়ার। অবশ্য তার কণ্ঠে গান নয়, হুঙ্কার! রমজানের শেষেই এবার কঠোর আন্দোলন!’
তিনি বলেন, ‘আব্বাস উদ্দীনের গান শুনে বাংলার মানুষ খুশি হয়। আর খালেদা জিয়ার কণ্ঠ শুনে ভীত হয়! কারণ অতীতে এবং নিকট অতীতেও প্রমাণিত হয়েছে বিএনপির আন্দোলন মানে জনগণকে নিয়ে মাঠে নামা নয়। আন্দোলনের নামে তারা যা করবে তাহলো বিএনপির নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনীকে দিয়ে মানুষ মারবে।’
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশিদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য শহীদ সেরনিয়াবাত, মজিবুর রহমান চৌধুরী, সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, মো. ফারুক হোসেন, আতাউর রহমান আতা, আব্দুস সাত্তার মাসুদ, মোখলেসুজ্জামান হিরু, মো. আনোয়ারুল ইসলাম, অধ্যাপক আমজাদ হোসেন প্রমুখ।