আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি, র্যাব বিলুপ্ত করার বিষয়ে হিউম্যান রাইট ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জানা যায় সভা শেষে কমিটির সভাপতি শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, এটি দেশের বিষয়। বিদেশি কোনো সংস্থার দেওয়া চিঠির উপর আমাদের সিদ্ধান্ত নির্ভর করে না।
এর আগে র্যাব গঠনের পর থেকে ৮শ’ হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় গঠিত বাংলাদেশের বিশেষ বাহিনী র্যাবকে ভেঙে দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একটি চিঠি দেয় হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। পরে মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আমির হোসেন আমু বলেন, নারায়ণগঞ্জ ও ফেনীর হত্যার ঘটনায় ‘যথেষ্ট’ অগ্রগতি হয়েছে।
তবে বিচার প্রক্রিয়া আরও তরান্বিত করতে বলা হয়েছে।
মিরপুরের অবাঙালি ক্যাম্পে হতাহতের ঘটনায় সভায় কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে আমু বলেন, সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে যেন ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে। অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
কারাগারে অনৈতিক কর্মকাণ্ড
বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে আমির হেসেন আমু বলেন, সীমান্তে মাদক চোরাচালানের বিষয়ে আরে সতর্ক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। কারাগারগুলোর অনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধে কর্মকর্তাদের বদলি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কারাগারগুলোতে অনেক দিন ধরে যেসব কর্মকর্তা রয়েছেন তারা বিভিন্ন অনিয়মে জড়িয়ে পড়ায় এ অবস্থা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ফরমালিন আইন কার্যকর করতে জেলা প্রশাসনকে দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, ফরমালিন আইন কার্যকরে ঢাকার পাশাপাশি প্রতি জেলায় অভিযান চালানোর বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যবস্থা
রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ রোধে সীমান্তে আরো কড়াকড়ি অবলম্বন করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান শিল্পমন্ত্রী। এছাড়া ডিজেল পাচার রোধেও ব্যবস্থা নিতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
ঈদে আইন-শৃঙ্খলা
ঈদে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন স্বাভাবিক থাকে সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে বলে জানান শিল্পমন্ত্রী।
ঈদের পরে বিএনপির আন্দোলন নিয়ে সরকার কিছুই মনে করছে না। তবে দেশের আইন-শৃঙ্খলা লঙ্ঘন হলে কঠোরভাবে তা প্রতিহত করা হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আমির হোসেন আমু বলেন, নির্বাচনের আগে বিএনপি যেভাবে আন্দোলন করেছিল সেভাবে আর আন্দোলন করতে পারবে না। যদি আমাদের মনে হয় তারা ওই রকম আন্দোলন করতে পারে তবে জরুরি বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেব।
আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু।