বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার চন্দ্রিমা উদ্যান থেকে সরিয়ে বগুড়ায় নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। তবে কিভাবে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে আলোচনা চলছে। জিয়াউর রহমান ’৮১ সালের ৩০শে মে ভোর রাতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে নিহত হন কতিপয় বিদ্রোহী সেনা কর্মকর্তাদের হাতে।
তার লাশ গোপনে কবর দেয়া হয় রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কাছে প্রত্যন্ত এক পাহাড়ি এলাকায়। পরে অভ্যুথ্থান কারীদের পতনের পর তৎকালীন সরকারী বাহিনী লাশের সন্ধান পায়। এর পর লাশ নিয়ে যাওয়া হয় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে। পরীক্ষা করে লাশ শনাক্ত করা হয়। এর পর বিমানযোগে ঢাকায় এনে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় প্রায় দশলক্ষ লোকের অংশগ্রহনে জানাজার নামাজ এবং দাফন করা হয় বর্তমান চন্দ্রিমা উদ্যানে।
আওয়ামী লীগ অবশ্য বরাবরই বলে আসছে জিয়ার লাশ পাওয়াই যায়নি। কেউ দেখেওনি। ’৯৬ সনে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ শেরেবাংলা নগরের বোটানিক্যাল গার্ডেন জিয়া উদ্যানকে ফিরিয়ে নেয় আগের ‘চন্দ্রিমা উদ্যান’ নামে। সংসদ ভবনের উত্তর পাশের রাস্তার পরেই ক্রিসেন্ট লেক। চন্দ্রিমা উদ্যানে যেতে এই লেকের ওপর ছিল একটি বেইলি ব্রিজ। এক রাতে এই ব্রিজটি ক্রিসেন্ট লেক থেকে হাওয়া হয়ে গেল। পরে জানা গেল, হবিগঞ্জের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এবার মাজারটি সরানোর পরিকল্পনা নীতিনির্ধারক মহলের।
গত ১৭ই জুন অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির বৈঠক শেষে এক অনির্ধারিত আলোচনায় এই বিষয়টি উঠে আসে। এর পর থেকেই সংশ্লিষ্ট মহলে এই পরিকল্পনা কিভাবে বাস্তবায়ন করা যায় তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। কিন্তু কিভাবে অগ্রসর হবে তা এখনও স্থির হয়নি। রাতারাতি গুঁড়িয়ে দিয়ে ভেতরের কিছু মাটি নিয়ে বগুড়ার বাগবাড়িতে কবর দেয়া হবে কিনা তা নিয়েও জল্পনা কল্পনা চলছে।তবে বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্ষকাতর এবং গনমানুষের আবেগ জড়িত থাকার কারনে এব্যাপারে সর্বোচ্চ গোপনীয়তা পালন করা হচ্ছে বলে বিস্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।