রবিবার টেলিফোনে কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু।
ওবামা বেশ কড়া ভাষায় নেতনিয়াহুকে হামলা বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন ওই ফোনে। এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রচার করে ইসরাইলি টিভি চ্যানেল ১। তবে ফোনালাপটি ভুয়া বলে দাবি করেছে ইসরাইলি এবং যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ। কূটনীতিতে এ ধরণের টেলিফোন সংলাপের তথ্য প্রকাশ করা নজিরবিহীন ঘটনা নয়।
তবে ওবামা ও নেতানিয়াহুর মধ্যে আলোচনায় কথোপকথনের হুবহু বিবরণ প্রকাশ বিরল ঘটনা। ওবামা প্রথম প্রেসিডেন্সির আমলে খবর বেরিয়েছিল যে হোয়াইট হাউজে নেতানিয়াহুর সাথে বৈঠকে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বৈঠক ছেড়ে চলে যান।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত দুই নেতার ফোনালাপের হুবহু এখানে প্রকাশ করা হলো:
ওবামা: আমি দাবি করছি ইসরাইলকে অবিলম্বে, একতরফাভাবে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হতে হবে এবং সমস্ত আক্রমণাত্মক কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে, বিশেষ করে বিমান হামলা।
নেতানিয়াহু: যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে ইসরাইল কী পাবে (কী লাভ হবে)?
ওবামা: আমি বিশ্বাস করি হামাসও রকেট হামলা বন্ধ করবে- নীরবতার জবাবে নীরবতাই পাওয়া যাবে।
নেতানিয়াহু: হামাস এর আগে পাঁচ বারই যুদ্ধবিরতির চুক্তি ভঙ্গ করেছে। এটা একটা সন্ত্রাসী সংগঠন, যারা ইসরাইলের ধ্বংস চায়।
ওবামা: আমি আবার বলছি এবং আশা করছি ইসরাইলকে একতরফাভাবে সব ধরণের সামরিক কার্যকলাপ বন্ধ করতে হবে। গাজায় ধ্বংসযজ্ঞের চিত্র দেখে বিশ্ব ইসরাইলের অবস্থান থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।
নেতানিয়াহু: (মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন) কেরির প্রস্তাব ছিল সম্পূর্ণ অবাস্তব এবং এতে হামাসকে সামরিক ও কূটনৈতিক সুবিধা দেয়া হয়েছে।
ওবামা: ইসরাইলের সামরিক হামলা বন্ধ করার এক সপ্তাহের মধ্যে কাতার ও তুরস্ক ২০১২ সালের সমঝোতার ভিত্তিতে হামাসের সাথে আলোচনা শুরু করবে- যাতে গাজা থেকে অবরোধ ও নিয়ন্ত্রণ তুলে নেয়ার ব্যাপারে ইসরাইলের অঙ্গীকার ছিল।
নেতানিয়াহু: কাতার ও তুরস্ক হামাসের সবচেয়ে বড় সমর্থক। স্বচ্ছ মধ্যস্ততাকারী হিসেবে তাদের ওপর নির্ভর করা অসম্ভব।
ওবামা: আমি কাতার ও তুরস্ককে বিশ্বাস করি। ইসরাইল এমন অবস্থানে নেই যে সে নিজেই নিজের মধ্যস্ততাকারীকে বেছে নিবে। নেতানিয়াহু: আমি প্রতিবাদ করছি এ কারণে যে হামাস রকেট হামলা অব্যাহত রাখতে পারে এবং সুড়ঙ্গপথ ব্যবহার করে সন্ত্রাসী হামলা করতে পারে।
ওবামা: (নেতানিয়াহুকে বাধা দিয়ে) বল ইসরাইলে কোর্টে এবং ইসরাইলকে সব ধরণের সামরিক কার্যক্রম অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
সূত্র: এনবিসি নিউজ, টাইমস অব ইসরাইল