ঈদের পর কঠোর আন্দোলনের ডাক দেবে, এমনটাই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। তারই ফলশ্রুতিতে, আগামী সপ্তাহে স্থায়ী কমিটি ও বিশ দলীয় জোটের বৈঠকের পর আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবে বিএনপি।
আপাতত সভা, সমাবেশ ও গণসংযোগেই সীমাবদ্ধ থাকার আভাস দিলেও আন্দোলনের পথে সরকারই বড় বাধা বলে মনে করেন দলটির নেতারা।
এদিকে, বার বার কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারী দিলেও নেতাদের অনেকে এখন বলছেন ধীরে চলো নীতির কথা। কর্মসূচির আকৃতি বা ধরণ যাই হোক আগামী সপ্তাহে তা ঘোষণা করা হবে বলেও জানান তারা।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন,’সভা-সমাবেশ ও গণসংযোগ হবে। সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে মতবিনিময় করে কর্মসূচি প্রদান করা হবে’। আন্দোলনকে ধাপে ধাপে এগিয়ে নিতে চায় বিএনপি। তবে এ ক্ষেত্রে সরকারের নিয়ন্ত্রিত বাহিনীকেই বড় বাধা বলে মনে করেন তারা।
আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে ওয়েলকাম জানাই। তিনি মাঠে আসছেন। খেলতে চান। তবে কথা হচ্ছে প্রশাসনকে বাইরে রেখে আসেন। আগামী সপ্তাহ থেকেই ধারাবাহিক কর্মসূচি শুরু হবে।’
তারা এও বলছেন, আন্দোলন ইস্যুতে কৌশল যাই হোক না কেন, সংলাপের মাধ্যমে নির্বাচন ইস্যুতে মতপার্থক্য কমিয়ে আনাকে গুরুত্ব দেবে বিএনপি।