DMCA.com Protection Status
title="৭

জুলাই মাসে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ১৫, ধর্ষণ ৪৪: অধিকার রিপোর্ট

image_92719_0 (1)দৈনিক প্রথম বাংলাদেশ প্রতিবেদনঃ   জুলাই মাসে ১৫ জন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। এরমধ্যে ১১ জনই পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন বেসরকারি মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’।





সংগঠনটির জুলাই মাসের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মাসে রাজনৈতিক সহিংসতায় মারা গেছেন ৮ জন। আহত হয়েছেন আরও ৫৮৯ জন। গণপিটুনিতে মারা গেছেন ৮ জন। এছাড়া অব্যাহত রয়েছে নারীর প্রতি সহিংসতা ও নির্যাতন।


 


প্রতিবেদনে আরো জানানো হয়, পুলিশি হেফাজতে নির্যাতন মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। এরপরও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে নির্যাতন ও বিচারবর্হিভূত হত্যাকাণ্ড হচ্ছে। রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় জুলাই মাসে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে ৩৫টি ও বিএনপিতে ৫টি সহিংস ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে দুই জন নিহত হয়েছেন। ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা হল দখল, টেন্ডারবাজি, ভর্তি বাণিজ্য ও আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্মের কারণে পারস্পরিক সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ায় রাজনৈতিক সহিংসতা এবং প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। এ মাসে কারাগারে অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন তিন জন বন্দি।


 


প্রতিবেদনে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত পরিস্থিতি তুলে ধরে বলা হয়, সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) চারজনকে গুলি করে ও একজনকে কুপিয়ে আহত করেছে। অপহরণ করেছে নয় জনকে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে বিএসএফ প্রায়ই বাংলাদেশিদের বাড়ি ঘরে হামলা ও লুটপাট চালায়। অনেককে ধরে নিয়ে নির্যাতন ও হত্যার পর সীমান্তে ফেলে রেখে যায়। এছাড়া বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কৃষি জমি দখলের অভিযোগও আছে বিএসএফ এর বিরুদ্ধে।


 


দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে সংস্থাটির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নারীর প্রতি সহিংসতা মোটেই কমেনি। জুলাই মাসে অনেক নারী যৌতুক সহিংসতা, এসিড আক্রমণ, ধর্ষণ এবং বখাটেদের হয়রানীর শিকার হয়েছেন। এরমধ্যে ২১ জন যৌতুক সহিংসতার শিকার হয়েছেন। ৮ জন নারীকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে। বিভিন্নভাবে নিপীড়নের শিকার হয়েছেন ১১ জন। নির্যাতন ও নিপীড়ন সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন দুই জন। এসিড সহিংসতার শিকার হয়েছেন পাঁচ জন। তাদের মধ্যে তিনজন নারী, একজন পুরুষ ও একজন বালক।


 


একই সময়ে ৪৪ জন নারী ও শিশু হয়েছেন ধর্ষণের শিকার। গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৮ জন। ধর্ষণের পর একজনকে হত্যা করা হয়েছে। ২৭ জন মেয়ে শিশুর মধ্যে পাঁচজনকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। ধর্ষণের পর দুইজনকে হত্যা করা হয়েছে। যৌন হয়রানীর শিকার হয়েছেন ২১ জন। বখাটেদের হাতে আহত হয়েছেন তিন জন। আত্মহত্যা করেছেন দুই জন। এছাড়া যৌন হয়রানীর প্রতিবাদ করতে গিয়ে একজন পুরুষ ও একজন নারী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন চার জন পুরুষ ও তিন জন নারী।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!