নরসিংদীর শিবপুর উপজেলায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১০ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো অন্তত ৭০ জন।
বুধবার বিকেল ৪টার দিকে শিবপুর উপজেলার কারারচর বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শাহনাজ (২৬), নরসিংদীর চরমধুয়া গ্রামের চান মিয়া (৪৫) ও নূরজাহান বেগম (৪০) ঘটনাস্থলেই মারা যান। এছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পর মারা যান হান্নান (৭০), রেজিয়া বেগম (৪৫) ও আব্দুল হান্নান (৫৫)। অপহর হতাহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
খবর পেয়ে নরসিংদী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে, দুর্ঘটনার পর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় দূর পাল্লার বাস যাত্রীদের। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সন্ধ্যা ছয়টায় দুর্ঘটনা কবলিত বাস দুটি উদ্ধার করে সরিয়ে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সিলেট থেকে বেপরোয়া গতিতে আসা ঢাকাগামী সোহাগ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস (ঢাকা মেট্রো ব-১১-১১৫০) ঘটনাস্থলে পৌঁছলে সিএনজি চালিত একটি অটোরিকশাকে পাশ কাটানোর চেষ্টা করে। এসময় বিপরীত দিক থেকে আসা মনোহরদীগামী মেঘালয় পরিবহনের অপর একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মুখোমুখে সংঘর্ষ ঘটে। এতে একটি বাসের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হলে দুটি বাসেই আগুন লেগে যায়। এসময় ঘটনাস্থলেই অগ্নিদদ্ধ হয়ে তিনজন ও হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায় আরো ৪ জন বাসযাত্রী। এ ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত আরো ৭০ জন যাত্রী।
আহতদের নরসিংদী জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে ১৫ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল হান্নান (৭০), রেজিয়া বেগম (৪৫) ও হান্নান (৫৫) মারা যান।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে নরসিংদীর পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। জেলা প্রশাসক আবু হেনা মোরশেদ জামান নরসিংদীর একশ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে হতাহতদের দেখতে যান।