বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে দক্ষ ও ‘কম দক্ষ’ শ্রমিকদের যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনের সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। এই সংখ্যাটি কমপক্ষে আট লাখ হতে পারে। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসকারী শ্রমিকদের বৈধতা ও ওয়ার্ক পারমিট দিতেও সম্মত হয়েছেন ওবামা। এর ফলে প্রযুক্তি খাত ছাড়া নির্মাণ ও কৃষিখাতেও ‘কম দক্ষ’ শ্রমিকদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনের পথ উন্মুক্ত হচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারী নীতি-নির্ধারকরা ব্যবসায়ী গ্রুপগুলোর সাথে আলোচনা করে সে দেশের অভিবাসন নীতিতে বড় ধরণের পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ওবামা এরই মধ্যে এক লাখ শ্রমিকের জন্য ওয়ার্ক পারমিট অনুমোদন করেছেন।
মাইক্রোসফটের বিল গেটস নিউইয়র্ক টাইমসে লেখা নিজের একটি উপসম্পাদকীয়তে সরকারের কাছে প্রতিষ্ঠানের যত প্রয়োজন তত বিদেশী শ্রমিক যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনের সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। বিদেশী শ্রমিকদের নিয়োগ দেওয়ার পথ পরিষ্কার করতে এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কোম্পানি থেকে মার্কিন শ্রমিকদের ছাঁটাই করা শুরু হয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী শ্রমিকদের নিয়োগ দিতে সিসকো এরই মধ্যে ৬,০০০ মার্কিন শ্রমিককে ছাঁটাই করেছে।
নতুন করে শ্রমিক অভিবাসনের সুযোগ সৃষ্টি হওয়াকে সমালোচনার চোখে দেখছেন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিবিদ ও জনগণের বিশাল একটি অংশ। তাদের মতে, নতুন করে শ্রমিকদের যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবাজারের জন্য উন্মুক্ত করে দিলে মার্কিন নাগরিকদের আয় ও বেতন কমে যাবে।
অভিবাসন নীতির এই পরিবর্তনে অনেকে সমালোচনা করলেও ওবামা নিজস্ব নির্বাহী ক্ষমতাবলে অভিবাসন নীতিতে এই পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ওরাকল, সিসকো, এফডাব্লিউডি, মাইক্রোসফট, ইউএস চেম্বার অব কমার্সের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে পরামর্শক্রমে অভিবাসন নীতিতে এই পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্কজুকারবার্গও ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান উভয়পক্ষের রাজনীতিবিদদের পেছনে ‘প্রচুর’ টাকা ঢেলেছেন সরকারের অভিবাসন নীতিতে পরিবর্তন আনতে। কারণ ফেসবুক কর্তৃপক্ষ চাইছে, নানান দেশ থেকে দক্ষ জনবল সংগ্রহ করতে।