মিশরের মধ্যস্থতায় ফিলিস্তিনের গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির লক্ষে মঙ্গলবার হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তি হওয়ার পরপরই গাজার বিভিন্ন জায়গায় আনন্দ উল্লাস করেছে হামাস ও ফিলিস্তিনিরা।
এ ঘটনাকে হামাসের জন্য বিজয় বলে আখ্যায়িত করেছে যুদ্ধ পর্যবেক্ষকসহ ফিলিস্তিনবাসী। যুদ্ধ বিরতির খবর পেয়ে বিভিন্ন শহরের মসজিদ থেকে মাইকে ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনি দিয়ে যুদ্ধবিরতির খবরকে স্বাগত জানানো হয়েছে। অনেকে ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে এবং গাড়ির হর্ন বাজিয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন।
গাজা উপত্যকার খান ইউনুস, জাবালিয়া ও রাফাহসহ সব শহরের রাস্তায় ফিলিস্তিনিদেরকে মিষ্টি বিতরণ করতে দেখা গেছে। ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির কথা স্বীকার করে বলেছে, মিশরের প্রস্তাবনায় আমরা নিঃশর্তভাবে দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতির চুক্তি মেনে নিয়েছি।
ফিলিস্তিনের একজন শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা বলেছেন, স্থায়ী যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে গাজার ওপর থেকে অবরোধ তুলে নেয়া এবং গাজাবাসীর দাবিগুলো পূরণের নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। এদিকে হামাসের সিনিয়র নেতা মুসা আবু মারজুক বলেছেন, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি হচ্ছে হামাসের বিজয়ের প্রমাণ। স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য হামাসের প্রধান দাবি ছিল, গাজার ওপর থেকে আট বছরের অবরোধ তুলে নিতে হবে। এছাড়া, গাজায় বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দর চালু অধিকার দিতে হবে। এগুলোকে যুদ্ধবিরতির শর্ত নয় বরং ফিলিস্তিনিদের অধিকার বলে উল্লেখ করেছেন হামাস নেতা খালেদ মাশআল।
উল্লেখ্য, ৮ জুলাই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে অবরুদ্ধ গাজার ওপর বর্বর আগ্রাসন শুরু করেন। এ পর্যন্ত ইসরাইলী হামলায় নিহত হয়েছে ২ হাজার ১৩৭ জন নিরীহ ফিলিস্তিনি। এতে আহত হয়েছে ১১ হাজার নিরীহ মানুষ। হতাহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশুসহ বেসামরিক লোক।
তেলআবিবের এই হামলার জবাবে হামাসের প্রতিরোধে ইসরায়েলের দাবি অনুযায়ী তাদের ৭০ জন সেনা নিহত হয়েছে। তবে হামাস বলছে, ইসরায়েলি নিহত সেনার সংখ্যা দেড়শ’রও বেশি।