বাংলাদেশে ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেলের অনুষ্ঠান সম্প্রচার বন্ধ হবে না। বিদেশি চ্যানেলগুলোর অনুষ্ঠানের গুণগতমান পরীক্ষা করেই সম্প্রচারের অনুমতি দেয়া হয়। যে কারণে ভারতীয় চ্যানেলগুলো চলবে।
বৃহস্পতিবার দশম জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশনে মোহাম্মদ ইলিয়াছ ও ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু সংসদকে এ তথ্য জানান।
ভারতে বাংলাদেশি চ্যানেল সম্প্রচার করতে না দেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশেও ভারতীয় চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের আইনে বাংলাদেশি টিভি চ্যানেলগুলোর অনুষ্ঠান ডাউনলিংকের কোনো বাধা নেই। বাধা হচ্ছে ডাউনলিংকের উচ্চ ফি। ওই ফি-ই হচ্ছে সম্প্রচারে বড় বাধা। এই বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে। ভারত যাতে বাংলাদেশি টিভি চ্যানেলগুলোর অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে তার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সার্ক ফোরামে বিষয়টি উত্থাপন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।’
বসুন্ধরা সিনেপ্লেক্সে কী নিয়মে বিদেশি ছবির প্রদর্শনী হয় এমন প্রশ্নে মন্ত্রী জানান, বসুন্ধরা সিনেপ্লেক্সে যেসব দেশি-বিদেশি সিনেমা প্রদর্শন করা হয় তা বিধি মোতাবেকই। আমদানিকৃত বিদেশি চলচ্চিত্র, বিশেষ করে ইংরেজি চলচ্চিত্রগুলো সেন্সরের জন্য বিধি মোতাবেক প্রথমে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডে জমা দিতে হয়। বোর্ড চলচ্চিত্রগুলো দেখে তার গুণগতমান যাচাই করে ছাড়পত্র দেয়। বোর্ডের ওই ছাড়পত্র পাওয়ার পরই চলচ্চিত্র প্রদর্শন করে বসুন্ধরা সিনেপ্লেক্স।
তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমরা এখন গ্লোবালাইজেশনের যুগে বাস করছি। নতুন নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন এবং বিকাশের ফলে জল, স্থল ,আকাশ কোনো কিছুই সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ রাখা সম্ভব নয়। বিদেশের সব কিছুই যেমন ভালো নয় তেমনি সব কিছু মন্দও নয়। ভালোকে গ্রহণ আর মন্দকে মন্দ বলে বর্জন করার যোগ্যতা অর্জন করার প্রচেষ্টা চালাতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘কী ধরনের বিদেশি অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা যাবে আর কী ধরনের অনুষ্ঠান প্রদর্শন বা সম্প্রচার করা যাবে না তা কেবল টলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন -২০০৬ এর ১৯ ধারায় বর্ণনা করা হয়েছে। যে কারণে বিদেশি টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে কোনো অপসংস্কৃতি আমাদের সমাজকে গ্রাস করার সম্ভাবনা নেই।’