প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে বলেছেন, জনগণ চাইলে এবং সকল সংসদ সদস্য একমত হলে আইন করে হরতাল বন্ধ করা যেতে পারে।
তিনি বলেন, আন্দোলন একটি গণতান্ত্রিক অধিকার। আইন দিয়েই সবকিছু করা যায় না। আইন করে হরতাল বন্ধ হবে কি না তা দেশের জনগণের ওপর নির্ভর করে। তাই আইন করে হরতাল বন্ধের বিষয়ে এখনই কিছু বলতে পারব না।
বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত ৩০ মিনিটের প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য এম এ হান্নানের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় হরতাল ও আন্দোলনের নামে ধ্বংসাত্মক ও বীভত্স কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে সংসদ নেতা আরও বলেন, এ ব্যাপারে জনগণকেই সচেতন হতে হবে, প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। কেননা ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগ পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত জোট যা করেছে, তা কোনো রাজনীতি বা আন্দোলন নয়, সরাসরি মানুষ খুন। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের আরেক রূপ। দেশের জনগণ এসব ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড আগামীতে আর দেখতে চায় না।
তিনি আরও বলেন, হরতাল ও আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াতের বীভত্স ও বিধ্বংসী কর্মকাণ্ড আমরা দেখেছি। বাসে আগুন দিয়ে মানুষকে পুড়িয়ে মারা, জনগণের সম্পদ বিনষ্ট করা, মসজিদে আগুন দিয়ে পবিত্র কোরআন শরিফ পোড়ানোর ঘটনা কোনো রাজনীতি বা আন্দোলন হতে পারে না, এটা সরাসরি মানুষ খুন করা। জনগণের কল্যাণে রাজনীতি করলে কীভাবে তারা (বিএনপি-জামায়াত) এ ধরনের বীভত্স কর্মকাণ্ড ঘটাতে পারে?
দেশবাসীকেই এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ভয়াবহ ঘটনা দেশে আর ঘটতে না পারে। তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনপূর্ব যেসব বীভত্স ঘটনা ঘটেছে তা কোনো রাজনীতি বা আন্দোলন নয়, আমরা জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস চাই না। এগুলো দেশের অগ্রগতির প্রতিবন্ধক। আমরা চাইব দেশের মানুষ সচেতন হয়ে এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
জাসদের শিরীন আখতারের এক প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এত বেশি কাজ করেছি যে, কোনটা ছেড়ে কোনটা প্রচার করব তা ভেবে পাই না। প্রচারের চেয়ে দেশের দ্রুত উন্নয়নই আমাদের লক্ষ্য। তিনি তথ্যমন্ত্রীসহ সকল সংসদ সদস্যকে নিজ নিজ এলাকায় জনগণের সামনে সরকারের বিপুল উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা পরনিন্দা করে যতটা আনন্দ পাই, ভালো কাজের প্রচারের ক্ষেত্রে ততটাই লজ্জা পাই। এটা ঠিক নয়।